গত বুধবার রাতে প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে আগ্রা জেলার শুধু ব্রজভূমিতে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত। মৃতদের মধ্যে আগ্রা শহরেরই রয়েছেন ৮ জন। মথুরাতে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ফিরোজাবাদে ২ জনের। অধিকাংশ মানুষেরই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের ওপর দেওয়াল ধসে পড়ে বা গাছ উপড়ে পড়ে। এছাড়া অসংখ্য গাছ উপড়ে পড়েছে রাস্তার ওপর।
বুধবারের ঝড়ের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। ফলে তা যে কতটা ভয়ংকর চেহারা নিয়েছিল তা অনুমেয়। ঝড়ে অনেক বিদ্যুতের স্তম্ভ উপড়ে পড়ে। ফলে বহু জায়গা রাতে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। ঝড়ের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিও হয়েছে। আগ্রায় সন্ধে ৭টা নাগাদ ঝড় শুরু হয়। ঝড়ের হাত ধরে নামে বৃষ্টি। প্রবল ঝড় বৃষ্টিতে অনেক রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষ ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হন। কার্যত রাতভর বৃষ্টি চলেছে। ঝড়-বৃষ্টিতে গম, বার্লি সহ অন্যান্য ফসলের বড়সড় ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে প্রবল ঝড়ে তাজমহলের দক্ষিণ দরজার স্থাপত্যের একাংশ ভেঙে পড়েছে। গোটা আগ্রা জেলা জুড়ে তাজমহল ছাড়াও রয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দ্বারা সংরক্ষিত ১৯৮টি স্থাপত্য। যারমধ্যে রয়েছে ফতেপুর সিক্রি বা আগ্রা ফোর্টের মত সর্বজনবিদিত স্থাপত্যও। ঝড়ের পর সবকটি স্থাপত্যই খুঁটিয়ে পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। দেখা হচ্ছে অন্যান্য স্থাপত্যেরও কোথাও কোনও ক্ষতি হয়েছে কিনা।