সম্প্রতি বাসের মধ্যে এক ছাত্রীর পাশের সিটে বসে হস্তমৈথুন করার ঘটনায় ব্যাপক হইচই পড়ে যায় দিল্লিতে। এবার মহিলাদের সামনে এক শিক্ষকের হস্তমৈথুন করার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দিল্লির বসন্তকুঞ্জ এলাকায়। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সন্দীপ চৌহান। দিল্লির বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের মার্শাল আর্টসের প্রশিক্ষণ দেওয়া তাঁর কাজ। বাড়ি বিহারে। সেখানে তাঁর স্ত্রী এবং ১২ বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। কর্মসূত্রে বর্তমানে দিল্লিতেই থাকে সন্দীপ চৌহান।
পেশায় শিক্ষক সন্দীপ চৌহানের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ নিয়ে গত ১৩ এপ্রিল বসন্তকুঞ্জ থানার দ্বারস্থ হন এক মহিলা। তাঁর দাবি, গত শুক্রবার বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকার সময় এক ব্যক্তিকে হস্তমৈথুন করতে দেখেন তিনি। অভিযুক্তের নির্লজ্জ আচরণ পাত্তা না দিয়ে তিনি তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে অফিস যাওয়ার ক্যাব ধরতে নিচে নেমে আসেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর আরও দাবি, বাড়ির দরজার মুখে পথ আটকে তাঁদের সামনে ফের হস্তমৈথুন করা শুরু করে ওই ব্যক্তি। কটূক্তির পাশাপাশি তাঁদেরকে ওই ব্যক্তি শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। এতে ভয় পেয়ে তাঁরা অফিস না গিয়ে নিজেদের ঘরে ফিরে যান। পরে অভিযুক্ত ব্যক্তি বাড়ির সামনে থেকে চলে গেলে ওই মহিলা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযোগকারিণীর বাড়ির সামনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। তারপর অভিযুক্তকে গত রবিবার গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি শুনে চোখ কপালে উঠে যাওয়ার উপক্রম হয় তাঁদের।
এমনিতে সন্দীপ চৌহান নাকি নিপাট ভালমানুষ। কিন্তু পেটে মদ পড়লেই মহিলাদের সামনে হস্তমৈথুন করার শখ জেগে ওঠে তাঁর। জেরায় পুলিশের কাছে এমনই দাবি করেছে অভিযুক্ত সন্দীপ চৌহান। পুলিশের এও দাবি, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, শ্লীলতাহানিসহ একাধিক অভিযোগ এর আগেও থানায় জমা পড়েছে। সম্প্রতি এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগে জেল হয় তাঁর। জেল থেকে ছাড়া পেয়েই ওই ব্যক্তির ফের একই ধরণের কুকর্মে অবাক পুলিশ।