পরিকল্পনা ছিল স্ত্রীর দেহের প্রতিটি টুকরো আলাদা আলাদা স্থানে পুঁতে দেওয়ার। যাতে কেউ কোনওভাবে মৃতদেহের পরিচয় না জানতে পারে। আর খুনির টিকির সন্ধান না পায়। অভিযোগ, সেই উদ্দেশ্যে স্ত্রীর শরীরের ১১টি টুকরো ব্যাগে ভরে গন্তব্যের দিকে রওনা দেয় শাহনওয়াজ শেখ। গা শিউড়ে ওঠা ঘটনাটি সম্প্রতি ঘটেছে গুজরাটের সুরাটে। মৃত মহিলার নাম জুলেখা। অভিযুক্ত শাহনওয়াজের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ছিলেন তিনি।
পুলিশ জানাচ্ছে, শাহনওয়াজ ইদানিং তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে থাকত। এই নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে চরম অশান্তি চলছিল তার। অশান্তি থেকে রেহাই পেতে গত রবিবার রাতে সুরাটের লাল গেট এলাকায় দ্বিতীয় স্ত্রীর ফ্ল্যাটে যায় শাহনওয়াজ। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ঘর করা নিয়ে ফের স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় জুলেখার।
সুরাট পুলিশ জানিয়েছে ঝগড়া চলাকালীন রাগের চোটে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার পর তাঁর দেহ খণ্ডবিখণ্ড করে অভিযুক্ত। তারপর সুযোগ বুঝে নির্জন ফাঁকা জায়গায় মাটি খুঁড়ে দেহের একেকটা টুকরো মাটিতে পুঁতে ফেলার পরিকল্পনা আঁটে।
এত সাবধানতা অবলম্বন করেও যদিও শেষরক্ষা হয়নি। স্ত্রীর কাটা হাত আর পায়ের টুকরো মাটিতে পোঁতার সময় ঘটনাস্থলে এসে পড়েন এক পুলিশকর্মী। তাঁর দাবি, মাটিতে কি পোঁতার চেষ্টা করা হচ্ছে জানতে চাইলে প্রথমে অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করে শাহনওয়াজ। জেরার মুখে সে অপরাধের কথা স্বীকার করে বলে দাবি পুলিশের। অভিযুক্তকে নিয়ে ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে মৃতার কাটা মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় শাহনওয়াজকে।