রাষ্ট্রীয় জনতা দল সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের বড় ছেলেকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিলেন ঐশ্বর্য রাই। বুধবার ধুমধাম করে তেজপ্রতাপ যাদবের সঙ্গে আংটি বদল করলেন ঐশ্বর্য। এদিন পাটনার পাঁচতারা মৌর্য হোটেলে বসেছিল এনগেজমেন্ট পার্টির আসর। কলকাতা, দিল্লি, বেঙ্গালুরু থেকে অর্ডার দেওয়া ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল গোটা হোটেল। আংটি বদল অনুষ্ঠানে এদিন আমন্ত্রিত ছিলেন ২০০ জন অতিথি। নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও।
এদিন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের সাক্ষী রেখে পছন্দের মানুষের সঙ্গে আগামী দিনে পথ চলার অঙ্গীকার করলেন ঐশ্বর্য। নীল রঙের লেহেঙ্গায় চমৎকার দেখাচ্ছিল ঐশ্বর্যকে। নিশ্চয়ই ভাবছেন, তবে কি অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে আর বনিবনা হল না ঐশ্বর্যের? গোপনে বিচ্ছেদ সেরে ফের নতুন করে জীবন শুরু করতে চললেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী? তাহলে জানবেন একদম ভুল ভাবছেন। আসলে লালুপ্রসাদের হবু পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রাই আর অমিতাভ বচ্চনের পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রাই মোটেই এক নারী নন। তেজপ্রতাপের হবু স্ত্রী আরজেডির বর্ষীয়ান নেত্রী চন্দ্রিকা প্রসাদ রাইয়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা। বিহারের ছাপড়া জেলার বাসিন্দা ঐশ্বর্য দিল্লিতে পড়াশোনা করেছেন। আগামী ১২ মে তেজপ্রতাপের সঙ্গে চার হাত এক হতে চলেছে তাঁর।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে লালুপ্রসাদ যাদবের আপাতত জেলেই দিন কাটছে। তাই রাজনীতির সমস্ত গুরুদায়িত্ব সামলাচ্ছেন তাঁর বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদব। বড় ছেলের জীবনের এমন এক বিশেষ দিনে তাঁর মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ জানানোর সুযোগটুকু পেলেন না লালুপ্রসাদ। এটুকুই আক্ষেপ রয়ে গেল পরিবারের সদস্যদের।