এও সম্ভব! ধর্ষণের জন্য নিজের মেয়েকে বন্ধুদের ‘উপহার’ দিল বাবা! বন্ধুদের সঙ্গে মিলে নিজেও মেয়েকে দফায় দফায় ধর্ষণ করল! বাবার বিরুদ্ধে এমন মারাত্মক অভিযোগ নিয়ে থানার দ্বারস্থ হল মেয়ে। অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরে। পুলিশ জানাচ্ছে, এক সন্তানের জননী বছর ৩৫-এর মহিলা গত ১৫ এপ্রিল বাবার সঙ্গে কমলাপুরের একটি মেলায় ঘুরতে যান। পুলিশ জানাচ্ছে, কথার জালে ফাঁসিয়ে বাবা বন্ধু মান সিংয়ের বাইকে করে তাঁকে নিয়ে যায় মীরজ নামে এক হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়িতে। অভিযোগ, সেখানে পৌঁছনোর পরই মহিলাকে একটি ঘরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই ঘরেই মীরজ, মান সিং ও তাঁর বাবা মিলে পালা করে তাঁকে ধর্ষণ করে। এমনভাবে প্রায় ১৮ ঘণ্টা চলে। ১৮ ঘণ্টা পর সোমবার বিকেলে কোনরকমে সকলের চোখ এড়িয়ে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন ওই মহিলা।
বাড়ি ফিরে প্রথমেই মাকে সমস্ত কথা খুলে জানান। তারপর মাকে নিয়ে থানায় বাবা ও তার ২ বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে গত মঙ্গলবার অভিযুক্ত হাতুড়ে চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে পুলিশের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২০১৭ সালে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ২০ বছরের বিবাহিত জীবনে ইতি টেনে বাপের বাড়ি চলে আসেন অভিযোগকারিণী মহিলা। মহিলার সঙ্গে তাঁর বাবার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে এই অভিযোগে সেই বছরই গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় মহিলার বাবাকে। নানা অপরাধে যুক্ত ওই ব্যক্তিকে পরে গ্রেফতারও করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, জামিনে ছাড়া পেয়েই মেয়েকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে অভিযুক্ত বাবা। ঘটনার পর মীরজ গ্রেফতার হলেও বাকি ২ অভিযুক্ত পলাতক। অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। কি কারণে নিজের মেয়ের সঙ্গে অভিযুক্ত এমন অকল্পনীয় বর্বর আচরণ করল তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।