বিয়েবাড়ি কি আদৌ সুরক্ষিত নাবালিকাদের জন্য? বিয়ের আনন্দে তাঁদের সামিল হওয়া কি আদৌ নিরাপদ? এটা ধর্ষণকাণ্ডের পরে এই প্রশ্নই তুলে দিল ছত্তিসগড় এবং উত্তরপ্রদেশ এই ২ পড়শি রাজ্যের ২টি ঘটনা। বিয়েবাড়িতে এসে গত সোমবার এটায় স্থানীয় যুবকের যৌন লালসার শিকার হয় ৮ বছরের এক নাবালিকা। পরে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। সেই মর্মান্তিক ঘটনার স্মৃতি ফিরে এল ঠিক ৩ দিনের মাথায়।
অকুস্থলও উত্তরপ্রদেশের সেই এটা জেলা। গত বৃহস্পতিবার কেলথা গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ‘তিলক’ পর্ব চলছিল। বিয়েবাড়ির আনন্দে মশগুল ছিলেন সকলে। অভিযোগ রাত ১০টা নাগাদ বাড়ির কয়েকজনের নজরে পড়ে তাঁদের পরিবারের এক ৯ বছরের বালিকা নিখোঁজ। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শুরু হয় খোঁজ। অবশেষে রাত ৩টের সময় বাড়ির অদূরে এক কোণায় ওই নাবালিকার রক্তাক্ত দেহের খোঁজ মেলে। দেহটি ময়না তদন্তে পাঠান হয়েছে। ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে পিন্টু কুমার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিসগড়ে। বিয়েবাড়িতে আসা ১০ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করল ধর্ষক। বৃহস্পতিবার সকালে ছত্তিসগড়ের কবীরধাম জেলার বাগহারা গ্রামের শুকিয়ে যাওয়া একটি নদীর চর থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত বিকৃত দেহ। এরপরই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে। ঘটনার পর থেকে পলাতক উত্তম সাহু নামে বরপক্ষের এক আত্মীয়। পুলিশের অনুমান, উত্তম শাহুই নাবালিকার ওপর অমানুষিক অত্যাচারের পর তাকে নৃশংসভাবে খুন করেছে। অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।