স্কুলে পা রাখার প্রথম দিনটা অনেক শিশুর মনেই একটা আলাদা ছাপ রেখে যায়। কিন্তু এমন ভয়ার্ত ছাপ বোধহয় রাখেনা। যা হয়তো রয়ে গেল ৭ বছরের এক নাবালিকার জীবনে। গত বুধবার বাবার হাত ধরে ছত্তিসগড়ের রায়পুরে ক্যাম্পিয়ন স্কুলে প্রথমবারের মত পা রেখেছিল সে। গোটা দিন স্কুলে কাটিয়ে বিকেলে বাড়ি ফিরে হাত মুখ ধোয় নাবালিকা। জামাকাপড় পাল্টানোর সময় মেয়েকে দেখে খটকা লাগে মায়ের। নাবালিকার মার দাবি, পোশাক পাল্টানোর সময় মেয়ের গোপনাঙ্গে অন্তর্বাস না থাকায় সন্দেহ হয় তাঁর। তাঁর এও দাবি, মেয়ের গোপনাঙ্গে রক্তও দেখতে পান তিনি। যা দেখে তিনি চমকে ওঠেন।
এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে মেয়ে পরিস্কার জানায় এক ইউনিফর্ম পরা ‘ভাইয়া’ তাকে বাথরুমে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে যৌন হেনস্থা করে। যদিও ঠিক কে ওই ব্যক্তি তা জানাতে পারেনি প্রথম শ্রেণির ওই ছাত্রী। মেয়ের মুখে একথা শোনার পরই থানার দ্বারস্থ হন নাবালিকার অভিভাবকরা। ঘটনার তদন্তে নেমে স্কুলের এক পিওনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। যদিও নাবালিকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্কুলের পিওন। তাঁর পাল্টা দাবি, টয়লেট করে ফেলায় নাবালিকার প্যান্ট ছুঁড়ে ফেলে দেয় সে। এর বাইরে সে কিছুই করেননি। তদন্তে নেমে স্কুলের গত বুধবারের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।