সন্দেহের বিষ ছড়িয়ে গিয়েছিল রক্তে মজ্জায়। অভিযোগ, সেই সন্দেহের বলি হতে হল নিষ্পাপ দুধের শিশুকে। স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে সন্দেহের বশে নিজের ২ মাসের সন্তানকে গলা টিপে খুন করে মারল ১৭ বছরের কিশোর। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এমন নৃশংস ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
১০ মাস আগে ১৬ বছরের কিশোরী প্রেমিকাকে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিল সে। দিল্লির মঙ্গলপুরী এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে উঠেছিল। কিন্তু ভাড়া দেওয়ার মত আর্থিক সঙ্গতি তাঁর ছিলনা। অভিযোগ, তার উপরে মদ ও ড্রাগের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আসক্ত ছিল ওই কিশোর। ফোন চুরি করে ধরা পড়ায় কিশোরকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল তার পরিবার। এদিকে বাড়ির অমতে ওই কিশোরকে বিয়ে করায় মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি কিশোরীর মা-বাবাও।
এরমাঝেই টানাটানির সংসার আলো করে ২ মাস আগে একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের মা হয় কিশোরী। নাতির মুখ দেখার পর মেয়ে-জামাইকে মেনে নেয় কিশোরীর বাড়ির লোক। তাঁদের দাবি, বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে অকারণে সন্দেহ প্রবণ হয়ে পড়ে জামাই। নিজের সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেয় সে। এদিকে সংসার চালাতে কিশোরীও রোজগারের চেষ্টা শুরু করে। গত শনিবার দুপুরে কিশোরী কাজের সন্ধানে বার হয়। ২ মাসের পুত্রসন্তানকে রেখে যায় স্বামীর কাছে। অভিযোগ এই সময়ে ফাঁকা বাড়িতে মদ্যপ কিশোর সন্দেহের বশে দুধের সন্তানকে জুতো দিয়ে মারতে শুরু করে। তারপর তাঁকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করে। বিকেলে বাড়ি ফিরে ছেলেকে অনেক ডেকেও সাড়া না পেয়ে তাঁকে নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ছোটে কিশোরী। সেখানে শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। শিশুর গলায় আঙুলের দাগ দেখে সন্দেহ হয় চিকিৎসকদের। পুলিশে খবর দেন তাঁরা। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের জেরার মুখে শিশুপুত্রকে খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত।