কখনও আইসক্রিম, কখনও চকোলেট, কখনও লজেন্স, কখনও আবার বিস্কুট। বারবার বদলে গেছে টোপের চরিত্র। বদলাচ্ছে না কেবল উপলক্ষটুকু। তারই প্রমাণ ফের মিলল ওড়িশার কটক জেলার জগন্নাথপুর গ্রামে। বিস্কুট কিনতে গিয়ে গ্রামেরই এক যুবকের বিকৃত লালসার শিকার হল ৬ বছরের নাবালিকা। গত শনিবার সন্ধেবেলা বাড়ির কাছেই একটি দোকানে বিস্কুট কিনতে গিয়েছিল সে। সেইসময় গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় রাস্তাঘাট ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঢেকে যায়। অন্ধকার পথ ধরেই জগন্নাথপুর নোডাল প্রাথমিক স্কুলের দিকে হেঁটে যাচ্ছিল নাবালিকা। অভিযোগ, সেইসময় অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে নাবালিকার মুখ চেপে ধরে প্রাথমিক স্কুলের ভিতর টেনে নিয়ে যায় এক যুবক। সেখানেই নাবালিকার উপর যৌন অত্যাচার চালায় অভিযুক্ত। তারপর মরণাপন্ন নাবালিকাকে ওখানে ফেলে চম্পট দেয়।
অনেকটা সময় কেটে গেলেও মেয়েকে ফিরতে না দেখে তাঁর খোঁজ শুরু করেন নাবালিকার পরিবারের লোকজন। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর প্রাথমিক স্কুলের ভিতর নিস্তেজ, নগ্ন, রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়ের খোঁজ পান তাঁরা। নাবালিকার মুখ, ঘাড়, মাথা ও গোপনাঙ্গে গভীর ক্ষতের চিহ্ন ছিল। নির্যাতিতাকে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে ছোটেন তাঁর বাড়ির লোকজন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রামেরই বাসিন্দা মহম্মদ মুস্তাক নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।