স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকাদের উপস্থিতির হার স্বাভাবিক রাখতে এবার হোয়াটসঅ্যাপের সাহায্য নিচ্ছে শিক্ষা দফতর। স্কুলে এলেও অনেক সময় ক্লাসে গরহাজির থাকেন কিছু শিক্ষক। অনেকে আবার অর্ধেক দিন স্কুলেই আসেন না। এমন অভিযোগ হামেশাই শুনতে পাওয়া যাচ্ছিল পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে। কয়েকজন শিক্ষকের সেই খামখেয়ালি আচরণে লাগাম পরাতে এবার নয়া পন্থা হাতিয়ার করল উত্তরাখণ্ডের স্কুল শিক্ষা দফতর। মোটা মোটা হাজিরা খাতায় শিক্ষকদের সই করে হাজিরা দেওয়ার রীতিতে পরিবর্তন এনে বরং আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে চাইছেন তাঁরা। বিভিন্ন জেলার সরকারি স্কুলগুলিতে হাজিরা খাতার বিকল্প হয়ে উঠতে চলেছে জেনওয়াই প্রজন্মের পছন্দের হোয়াটসঅ্যাপটি। তারই বাস্তবায়নে উঠে পড়ে লেগেছেন শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার থেকে উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুন ডিভিশনের প্রতিটি সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের ক্লাসে ঢুকে সেলফি তুলে পোস্ট করতে হবে। কিভাবে হবে পুরো কাজ? কুমায়ুনের প্রত্যেকটি সরকারি স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকাদের নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে একটি গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। গ্রুপটিতে থাকছেন শিক্ষা দফতরের জেলা স্তরের আধিকারিকরাও। ক্লাসে ঢুকেই প্রথমে শিক্ষকের কাজ হবে উপস্থিত পড়ুয়াদের নিয়ে একটি সুন্দর ‘গ্রুপফি’ তুলে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করা। সেই ছবিই সাক্ষী শিক্ষক, শিক্ষিকার হাজিরার।
শিক্ষা দফতরের এমন নির্দেশিকায় অবশ্য মুখ ভার হয়েছে কুমায়ুনের শিক্ষকদের একাংশের। কুমায়ুনে ৭৮৪৫টি সরকারি স্কুলের সিংহভাগের অবস্থান দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে। সেখানে হাতে স্মার্ট ফোন থেকেও লাভ নেই। কারণ একটাই। অগম্য পার্বত্য এলাকায় নেটওয়ার্কের অপ্রতুলতা। সেক্ষেত্রে সেলফি বা গ্রুপফি কোনওভাবে সময়মত পাঠানো নাও সম্ভব হতে পারে। আপাতত সেই চিন্তায় সেখানকার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। যদি নেটওয়ার্ক কাজ না করে তবে কী সেদিনের জন্য তাঁকে গরহাজির ধরবে স্কুল শিক্ষা দফতর? সেই প্রশ্নই তুলেছেন তাঁরা।