প্রথমা পত্নী পুত্রসন্তানের জন্ম দিতে পারেননি। সন্তান অবশ্য আছে। ১৪ বছরের একটি মেয়ে। কিন্তু মেয়ে দিয়ে কি আর কুল রক্ষা হয়? বংশ প্রদীপের জন্য প্রয়োজন পুত্র সন্তানের! তার জন্য দ্বিতীয় বিয়ে করতে হবে। তবেই পূরণ হবে কাঙ্ক্ষিত ইচ্ছা। অভিযোগ, সেই ইচ্ছাপূরণের তাগিদে এক তরুণীকে অপহরণ করে বছর ৪৫-এর এক ব্যক্তি। যে পেশায় নাকি একজন শিক্ষক!
গত সোমবার মহারাষ্ট্রের পুনের সাংভি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষককে। অভিযোগ, গত মার্চ মাসে পুত্রসন্তানের লোভে মহারাষ্ট্রের ইয়েরমালা এলাকা থেকে ১৯ বছরের এক তরুণীকে অপহরণ করে পুনের জেলা পরিষদ স্কুলের ওই শিক্ষক। ইয়েরমালার একটি ফ্ল্যাটে আটকে রেখে ওই শিক্ষক তরুণীকে বিয়ে করতে চাপ দিত বলে অভিযোগ। শিক্ষকের খপ্পর থেকে বাঁচতে ফোনে নিজের অবস্থার কথা জানিয়ে ১টি ভিডিও ক্লিপ তৈরি করেন ওই তরুণী। সেই ভিডিও ক্লিপ কোনওভাবে পুলিশের হাতে গিয়ে পৌঁছয়। ভিডিওর সাহায্যে অপহৃতা তরুণীর খোঁজ পেয়ে তাঁকে তাঁর মা-বাবার হাতে তুলে দেয় পুলিশ।
এখানেই শেষ নয়। কদিন পর ওই তরুণী ফের ফিরে আসেন পুলিশের কাছে। অভিযোগ, বাড়ি ফিরে আসার পর তাঁকে ফের শিক্ষকের কাছে ফিরে যেতে চাপ দিতে থাকেন তাঁর মা-বাবা। তরুণীর দাবি, টাকা ও ফ্ল্যাটের লোভে ওই শিক্ষককে বিয়ে করতে তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন তাঁর অভিভাবকরা। পরিবারের ধারদেনা মিটিয়ে দেওয়ার টাকা যোগাড় করতেও তাঁকে ওই শিক্ষকের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছিল। সমস্ত ঘটনায় শিক্ষকের স্ত্রীর সম্পূর্ণ মদত ছিল বলে দাবি তরুণীর। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রী, কিশোরীর মা-বাবা সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।