কেরালার কান্নুর এলাকায় এক মেয়েকে নিয়ে বাবা-মার সঙ্গে থাকত ভনত্থমকাণ্ডি সৌম্যা। ২০১২ সালে তার বছর দেড়েকের এক মেয়ের মৃত্যু হয়। এদিকে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর বাপের বাড়িতে থাকার সময়ে একাধিক পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় সৌম্যার। একদিন মাকে একাধিক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলে সৌম্যার মেয়ে। মাকে এই অবস্থায় দেখার পর দাদু-দিদিমাকে গোটা ঘটনা খুলে বলে সে। সৌম্যার মা-বাবার বুঝতে অসুবিধা হয়না মেয়ে কোন পথে হাঁটছে। এই নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে একপ্রস্ত ঝামেলা হয় বছর ২৮-এর সৌম্যার। এরপরেই প্রেমের পথের কাঁটাদের সরাতে বাজার থেকে ইঁদুর মারার বিষ কিনে আনে সে। অভিযোগ, সেই বিষ একটু একটু করে ৯ বছরের মেয়ে, ৬৫ বছরের মা ও ৭৬ বছরের বাবার খাবারে প্রতিদিন মিশিয়ে দিতে থাকে সে। ‘স্লো পয়জনিং’-এর প্রভাবে প্রথমে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সৌম্যার মেয়ে। তারপর একে একে মৃত্যু হয় তার মা এবং বাবার। পুলিশ জানিয়েছে উশৃঙ্খল জীবনযাপন বজায় রাখতে আপনজনদের পরিকল্পিতভাবে খুন করার কথা সৌম্যা স্বীকার করেছে।
২০১২ সালে মৃত্যু হয় ভনত্থমকাণ্ডি সৌম্যার ১ বছরের মেয়ে কীর্তনার। এর ৬ বছরের মাথায় ফের মৃত্যুর ছায়া নেমে আসে সৌম্যার পরিবারে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মারা যায় তার ৯ বছরের মেয়ে ঐশ্বর্য। গত ৭ মার্চ মারা যান সৌম্যার মা ভি কমলা। গত ১৩ এপ্রিল মৃত্যু হয় সৌম্যার বাবা পিকে কুঞ্জিকান্নানের। প্রত্যেকের মৃত্যুর কারণ একটাই। বমি ও পেটের সমস্যা থেকে অন্ত্র বিষিয়ে গিয়ে মৃত্যু। এরপর সৌম্যাও একই অসুস্থতার অজুহাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এতেই সন্দেহ বাড়ে মহিলার প্রতিবেশি ও আত্মীয়দের। তাঁরাই খবর দেন পুলিশে। পুলিশ এসে কবর খুঁড়ে তুলে আনে মহিলার মেয়ে, মা ও বাবার মৃতদেহ। ময়নাতদন্তে মৃতদের প্রত্যেকের অন্ত্রে অত্যন্ত বেশি পরিমাণে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড পাওয়া যায়। সন্দেহ হওয়ায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকেই সৌম্যাকে গ্রেফতার করা হয়।