ঐশ্বর্য রাইয়ের মধ্যে ভারতীয় সৌন্দর্য বর্তমান। ফলে তাঁর মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার যুক্তি আছে। কিন্তু ডায়ানা হেডেনের মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার কোনও যোগ্যতাই নেই। তবু ১৯৯৭ সালে তিনি মিস ওয়ার্ল্ড হন। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। মহাভারতের যুগেও ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট ছিল বলে দাবি করে ইতিমধ্যেই চর্চার স্পটলাইটে চলে এসেছেন তিনি। তাঁর সেই চাঞ্চল্যকর দাবির রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বোমা ফাটালেন বিপ্লব দেব। তাঁর আরও দাবি, এসব ফ্যাশন দুনিয়ার মাফিয়াদের কারসাজি। অর্থাৎ ঘুরিয়ে তিনি ডায়ানা হেডেনের মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার পিছনে অন্য কারণের ইঙ্গিত দিলেন বলেই মনে করছেন অনেকে।
গত বৃহস্পতিবার আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে হস্তশিল্পের ওপর একদিনের কর্মশালায় যোগদান করেন বিপ্লব দেব। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিপ্লব দেব স্পষ্ট জানান, ভারতীয়রা মেয়েদের মধ্যে দেবী লক্ষ্মী বা দেবী সরস্বতীকে খোঁজেন। সেই দেবী রূপ ডায়ানা হেডেনের মধ্যে নেই। ডায়ানা হেডেনের সৌন্দর্যের তিনি মাথামুণ্ডু বোঝেন না। এদিন বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজকদেরও একহাত নেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। দাবি করেন, আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার ফলাফল পূর্বনির্ধারিত হয়। বিশ্বসুন্দরী খেতাব জয়ীদের মধ্যে অনেক অযোগ্য মেয়েও আছেন। এই কারণে টানা ৫ বছর ভারতের মেয়েরা মিস ওয়ার্ল্ড বা মিস ইউনিভার্স হয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করতে দাবি করেন, ভারতীয় মহিলারা আগে প্রসাধনী ব্যবহার করতেন না। ঘরোয়া সামগ্রী দিয়ে তাঁরা রূপচর্চা করতেন। আন্তর্জাতিক মার্কেটিং মাফিয়ারা ভারতে প্রসাধনী দ্রব্য বিক্রির বাজার ধরতে কয়েক বছর ভারত থেকে বিশ্বসুন্দরী নির্বাচন করে বলে দাবি করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। এখন দেশের সর্বত্র বিউটি পার্লার গজিয়ে উঠেছে। তাই এ দেশের কেউ আজ আর বিশ্বসুন্দরী হয় না। যদিও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর এহেন বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ শুরু হয়েছে। এক সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ প্রসঙ্গে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে স্বয়ং ডায়ানা হেডেনও। তিনি তাঁর বাদামি চামড়া নিয়েই লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী।