বিয়ে করতে গিয়েছিলেন। বিয়েও হয় ধুমধাম করে। কিন্তু নববধূকে নিয়ে আর বাড়ি ফেরাটা হলনা। ভেঙে চুরমার হয়ে গেল সব স্বপ্ন। খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হল স্বামীকে। গত শুক্রবার রাতে বিয়ে করে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর চোখের সামনেই তাঁর স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করল দুষ্কৃতীরা। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর মাতাউর গ্রামের কাছে।
গাজিয়াবাদ থেকে বিয়ে সেরে নববধূ ফাহরানাকে নিয়ে মুজফ্ফরনগরে বাড়ি ফিরছিলেন শাহজেব। পুলিশ জানাচ্ছে, পথে ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর পার্তাপুরের রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে একটি রেস্তোরাঁয় ঢোকেন নবদম্পতি। সঙ্গে শাহজেবের পরিবারের ২-৩ জনও ছিলেন। সেখানে খাওয়া সেরে রাত ১১টা নাগাদ তাঁরা ফের গাড়িতে চড়ে এগোন। কিন্তু রেস্তোরাঁ থেকে গাড়ি এগোনোর পর থেকেই তাঁরা বুঝতে পারেন একটি গাড়ি তাঁদের পিছু নিয়েছে। একটু দূরে মাতাউর গ্রামের কাছে রাতের অন্ধকারে মাঝ রাস্তায় তাঁদের গাড়ির সামনে এনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। তারপর সকলকে টেনে গাড়ি থেকে বার করে তাঁদের সঙ্গে থাকা টাকা ও গয়না দিয়ে দিতে বলে।
সেসময়ে গাড়ির মধ্যে ছিলেন একমাত্র নববধূ ফাহরানা। এক দুষ্কৃতী গাড়ির দরজা খুলে তাঁকেও গয়না খুলে দিতে বলে। কিন্তু রাজি হননি ফাহরানা। অভিযোগ তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ওই দুষ্কৃতী। তারপর গয়নাগাটি, টাকাকড়ি লুঠ করে রক্তাক্ত ফাহরানাকে গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে রাস্তায় ফেলে সেখান থেকে নবদম্পতির গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় তারা। পরে পুলিশে খবর গেলে পুলিশে এসে রক্তাক্ত নববধূকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এই ঘটনা জানতে পারলেও পুলিশ খতিয়ে দেখছে এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা।