স্বামী এম কুমারের বয়স ৫৩। স্ত্রী জে সুনিতার ৫০। স্বামী-স্ত্রী নিছক ছুটি কাটাতে হাজির হয়েছিলেন কর্ণাটকের অন্যতম পর্যটনস্থল নন্দি হিলসে। এখানেই পাহাড়ের ওপর একটি হোটেলে ওঠেন তাঁরা। গত ১ মে স্বামী-স্ত্রী বিকেলের দিকে হোটেলের পিছনে খাদের ধার ঘেঁষেই বসে গল্প করছিলেন। মনোরম পরিবেশে গল্প করতে করতে প্রায় সন্ধে নামার উপক্রম হয়। আলো কমতে থাকায় তাঁরা ফের হোটেলে ফেরার জন্য উঠে দাঁড়ান। এম কুমার পুলিশকে জানিয়েছেন, সেই সময়ে তাঁর স্ত্রীর এক পাটি জুতো পা থেকে বেরিয়ে যায়। সেটা নিচু হয়ে তুলতে গিয়ে তিনি একটু ঝোঁকেন। আর ঠিক সেই সময়েই খাদের কিনারায় তাঁর পা হড়কে যায়। নিমেষে খাদে পড়ে যান জে সুনিতা। গভীর গিরিখাতে স্ত্রীকে পড়তে দেখে প্রথমে তাঁর হাতটা চেপে ধরার চেষ্টা করেন স্বামী। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় গভীরে পড়তে থাকা স্ত্রীকে বাঁচাতে তিনিও খাদে লাফ দেন।
যখন এম কুমারের হুঁশ ফেরে তখন সন্ধে নেমে গেছে। ২টি বিশাল পাথরের খাঁজে তিনি তখন পড়ে আছেন। চোট লেগেছে মাথায়। সবকিছু মনে পড়ে যায় তাঁর। দ্রুত উঠে হোটেলে ফিরে সবকিছু তিনি খুলে বলেন। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। রাতের অন্ধকারে সম্ভব না হলেও পরদিন ভোরে তল্লাশি চালিয়ে ৩৫০ ফুট গভীর খাদের তলদেশ থেকে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।