National

নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা, অভিযুক্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

নাতনির বয়সী নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে প্রতিবেশি দাদু। এই অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলার দাচেপল্লী গ্রাম। অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে ক্ষিপ্ত স্থানীয়রা জাতীয় সড়কের ওপর কয়েকটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেন। স্থানীয় রেল স্টেশনে লাইনের ওপর বসে ধর্না দেন বিক্ষোভকারীরা। রাস্তায় ফেলে জ্বালানো হয় টায়ার। ঝপাঝপ দোকানের ঝাঁপ ফেলে কয়েক ঘণ্টার বন্‌ধ ঘোষণা করেন এলাকার ব্যবসায়ীরা। সাধারণ জনতার সঙ্গে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হন তাঁরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে একপ্রস্ত ধ্বস্তাধ্বস্তি হয় তাঁদের। অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আসে।

তবে অভিযুক্তকে পাকড়াও করার আগেই দুঃসংবাদ আসে পুলিশের কাছে। শুক্রবার সকালে দাইদা ও তেলিকুটলা গ্রামের মাঝখানে অবস্থিত একটি মন্দির সংলগ্ন খেতের গাছ থেকে উদ্ধার হয় ৬০ বছরের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ। এলাকাবাসীর কাছে আন্নাম সুব্বাইয়া নামে পরিচিত ছিল সে। গত বুধবার রাতে পাশের বাড়ির ৯ বছরের নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করার অভিযোগ ছিল পেশায় রিকশাচালক ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বাড়ি ফিরে নাবালিকার পেটে ব্যথা শুরু হলে সন্দেহ হয় মায়ের। তিনি দেখেন, মেয়ের গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্ত পড়ছে। চিকিৎসক নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার পর তার যৌন হেনস্থার বিষয়টি সুনিশ্চিত করেন। এই খবর ছড়াতেই পলাতক অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। তারপর গোটা বৃহস্পতিবারই আন্নাম সুব্বাইয়ার গ্রেফতারির দাবিতে উত্তাল ছিল পরিস্থিতি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, লজ্জা ও অনুশোচনা থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় অভিযুক্ত। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button