National

ঠান্ডা মেঝেতে শুইয়ে বধূহত্যার অভিযোগ, তদন্তে পুলিশ

বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন নববধূ। এমনকি নাতি হওয়ার পরেও অসুস্থ বৌমার কপালে স্নেহের পরশ মাখা হাত রাখেননি শ্বশুর-শাশুড়ি। উল্টে সদ্য মা হওয়া যুবতীকে দিনের পর দিন শুতে বাধ্য করা হয়েছে ঠান্ডা মেঝেতে। মায়ের বুক থেকে দুধের শিশুকে একপ্রকার কেড়ে খাটের ওপর নাতিকে নিয়ে আয়াসে শুয়েছেন গৃহবধূর শাশুড়ি। অভিযোগ, দীর্ঘদিনের সেই অবহেলাই কেড়ে নিল পি শালিনী নামে বছর ২৮-এর যুবতীর জীবন। ২ বছর আগে হায়দরাবাদ নিবাসী শ্রী হরিপ্রসাদের সঙ্গে বিয়ে হয় এমবিএ পাশ যুবতীর। মৃতার পরিবারের দাবি, বিয়ের ১ বছর যেতে না যেতেই নানা কারণে শালিনীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোক। মানসিক অবসাদে ভোগার দরুণ এর আগে একবার ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করতে যায় বলে জানিয়েছেন মৃতার বাড়ির লোক। সেবার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে উল্টে পেট পরিস্কার করতে সাবানগোলা জল খাইয়ে দেন বলে অভিযোগ।

যুবতীর পরিবারের দাবি, বিয়ের পর অন্তঃসত্ত্বা হলে শালিনী চাকরি ছেড়ে দেন। অভিযোগ, তখন থেকে শুরু হয় তাঁর ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। সন্তানের জন্ম থেকে টানা ২ বছর মেঝেতে শুতে বাধ্য হওয়ায় যুবতীর ঠান্ডা লেগে ফুসফুসে সংক্রমণ হয়ে যায়। মৃতার পরিজনদের দাবি, এটুকুতেই থেমে থাকেনি বউমার ওপর শ্বশুরবাড়ির লোকের অমানবিক অত্যাচারের বহর। অভিযোগ, অসুস্থ শালিনীকে দিয়ে জোরে করে লিখিয়ে নেওয়া হয়, তার অসুস্থতার জন্য কেউ দায়ী নয়। এ কথা বাপের বাড়ির লোককে জানালে যুবতীর বাবা-মা তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেখানেই বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয় শালিনীর। এরপরেই মৃতার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃত বধূর আত্মীয়রা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button