স্বামীকে হত্যা করে স্বামীর বন্ধুদের ডেকেই সেই দেহ জঙ্গলে ফেলে দিল স্ত্রী। এই ঘটনাই এখন গোয়ার কারচোরেম গ্রাম সহ গোটা এলাকার আলোচ্য হয়ে উঠেছে। মাস খানেক সবকিছু চেপে রাখলেও অবশেষে পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেল না কেউ। আপাতত স্ত্রী সহ ৩ বন্ধু শ্রীঘরে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
পুলিশ জানাচ্ছে, অভিযুক্ত স্ত্রী কল্পনা স্বীকার করেছে এক মাস আগে তার সঙ্গে তার স্বামীর প্রবল ঝগড়া হয়। ঝগড়ার সময়ে সে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। কিন্তু তারপর সে বুঝেই উঠতে পারছিল না দেহটা নিয়ে কী করা যায়! যেভাবে হোক সেটাকে লুকোতে হবে। কিন্তু সে কাজ তার একার কম্ম নয়। ফলে বছর ৩১-এর ওই মহিলা তার স্বামীর ৩ বন্ধুকে ডেকে পাঠায়। তারপর তাদের সব কথা খুলে বলে। দেহ হাপিশ করতে তাদের সাহায্য চায়। স্বামীর ৩ বন্ধুও বন্ধুর স্ত্রীর সেই অনুরোধ ফেলতে পারেনি। পুলিশ জানাচ্ছে, বাসাউরাজের নিথর দেহটা ৩ টুকরো করে ফেলে তারা। তারপর একটা প্যাকেটে পুরে টুকরোগুলো গোয়া-কর্ণাটক সীমান্তের কাছে ঘন জঙ্গলের মধ্যে ফেলে দিয়ে আসে। হয়তো ভেবেছিল হিংস্র জানোয়ারদের খাদ্যে পরিণত হবে তাদের বন্ধুর দেহাংশ।
এরপর মাস খানেক কেটে যায়। বাসাউরাজের খোঁজ কেউ পায়না। ২ সন্তানের জননী কল্পনাও সকলের কাছে দেখায় যে সেও বুঝে উঠতে পারছে না স্বামী কোথায় গেলেন। পুলিশও কিনারা করে উঠতে পারছিল না এই নিখোঁজ রহস্যের। এদিকে দেহ লোপাটে সাহায্য করা ৩ বন্ধুর এক বন্ধুর স্ত্রীয়ের একটা সন্দেহ হয়। বেশ কিছুদিনে স্বামীর মতি গতি তাঁর ভাল লাগে না। স্বামীর বন্ধু বেপাত্তা। আর স্বামী কেমন একটা অস্বাভাবিক আচরণ করছে। এতে সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুলিশকে জানান। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে মৃতের ৩ বন্ধুকেই ডেকে পাঠান হয়। পুলিশি জেরার মুখে অবশেষে সব কথা খুলে বলে তারা। পুলিশ তখনই তাদের নিয়ে হাজির হয় জঙ্গলে। সেখান থেকে উদ্ধার হয় বাসাউরাজের কিছুটা পড়ে থাকা দেহাংশ। এরপরই ওই ৩ জন সহ কল্পনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।