প্রত্যেক মাসে বাড়িতে ধরা বাঁধা বিদ্যুতের বিলই আসত। হাজার টাকার বেশি অঙ্কের বিল কখনোই মেটাতে হয়নি জগন্নাথ নেহাজী শেলকে-কে। গত এপ্রিলে সেই বিল ভৌতিকভাবে একলাফে ছুঁয়ে ফেলে লক্ষ টাকার ঘর! এমন বিপুল অঙ্কের বিলের বোঝা! তাও আবার মিটিয়ে দিতে হবে ১৭ মে-র মধ্যে। নাহলে জরিমানা বাবদ গুনতে হবে আরও ১০ হাজার টাকা। জরিমানা তো দূর, ৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ২০ টাকার বিল মেটানো কখনোই সম্ভব ছিল না পেশায় সবজি বিক্রেতা ওই ব্যক্তির পক্ষে। তাই জরিমানার হাত থেকে রেহাই পেতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ জেলার ভরতনগর এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ ঘর থেকে উদ্ধার হয়। আত্মহত্যার আগে তিনি শরীরে পিন দিয়ে একটি সুইসাইড নোট আটকে দেন। নোটে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার জন্য মোটা অঙ্কের বিদ্যুতের বিলকে দায়ী করে গেছেন ওই ব্যক্তি।
সবজি বিক্রেতার আত্মহত্যার খবর জানাজানি হতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। মৃতের পরিবার বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে বিদ্যুৎ দফতরে হানা দেয় পুলিশ। জানা যায়, ভুল করে সুনীল কোলি নামে এক কর্মী অন্য এক ব্যবসায়ীর বিল সবজি বিক্রেতার নামে তৈরি করে তাঁর বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। অভিযুক্ত কর্মচারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মৃতের পরিবারের দাবি, বিদ্যুতের উড়ো বিল পেয়ে ইলেকট্রিক অফিসে বারবার অভিযোগ ও অনুরোধ জানিয়েছিলেন জগন্নাথ শেলকে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। বিশাল অঙ্কের বিলের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোনও রাস্তা খুঁজে না পেয়ে দিশেহারা অবস্থায় সবজি বিক্রেতা আত্মহত্যা করেন বলে মনে করছে পুলিশ।