১ দিনে পরপর ২ বার ধর্ষকদের যৌন লালসার শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। তারপরও মনোবল ভাঙেনি নির্যাতিতার। তিনি জানতেন, তাঁর ওপর হওয়া পাশবিক অত্যাচারের নির্লজ্জ মুহুর্ত ফোনে ক্যামেরাবন্দি করেছে ২ ধর্ষক। তাঁর সঙ্গে হওয়া পাশবিক অত্যাচারের জলজ্যান্ত প্রমাণ ফোনের সেই ফুটেজ। এটা একটা বড় প্রমাণ। তাঁর বিচার পাওয়ার অন্যতম অস্ত্র। তাই ধর্ষকরা যখন মদ খেয়ে নেশায় ঘুমিয়ে পড়ে, তখন তাদের ফোন হাতিয়ে পালিয়ে আসেন তরুণী। আসার আগে বুদ্ধি করে তাদের ঘরে বন্ধ করে দেন তিনি। তারপর তাঁর ওপর হওয়া অত্যাচারের প্রমাণ তিনি তুলে দেন পুলিশের হাতে। অমানুষিক যৌন অত্যাচার সহ্য করার পরেও তরুণীর উপস্থিত বুদ্ধিমত্তাই শেষপর্যন্ত ধরিয়ে দেয় অভিযুক্তদের। অভিযুক্ত ২ ব্যক্তি শেখ সালাম ও শ্রীরাম শ্রীবাস এখন পুলিশের হেফাজতে।
মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ওই নির্যাতিতার অদম্য মনোবলের কথাই এখন লোকের মুখে মুখে ফিরছে। অভিযোগ, গত শনিবার কলেজ পড়ুয়া ওই তরুণী বাড়ি থেকে রওনা দেন উত্তরপ্রদেশের কুশী নগরের উদ্দেশে। সেখানে একটি বিউটি পার্লারে তিনি বিউটিফিকেশনের ক্লাস করতে যাচ্ছিলেন। তরুণীর দাবি, পথে অভিযুক্ত ২ ব্যক্তি তাঁকে অপহরণ করে। তারপর একটি ফাঁকা আবাসনে ওই ২ ব্যক্তি তাঁকে জোর করে মদ খাইয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে বলে জানিয়েছেন নিগৃহীতা। তরুণীকে ধর্ষণের দৃশ্য ধর্ষকরা পালা করে ভিডিও করে বলে অভিযোগ। গত রবিবার মদ্যপ ২ অভিযুক্ত ঘুমিয়ে পড়লে একফাঁকে তাদের ডেরা থেকে পালিয়ে আসেন তরুণী। পুলিশের হাতে তাঁর সঙ্গে হওয়া অত্যাচারের প্রমাণ তুলে দেন। ফলে অভিযুক্তদের পাকড়াও করতে অনেকটা সুবিধা হয় পুলিশের।