নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা বিজেপির নেই। কিন্তু তাদের জোটের আছে। তাই তাদেরই সরকার গড়তে ডাকা উচিত। কিন্তু তা সত্ত্বেও যদি রাজ্যপাল বিজেপিকে সরকার গড়তে ডাকে তাহলে তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন। একথা গত বুধবার দুপুরেই পরিস্কার করে দিয়েছিল কংগ্রেস-জেডিএস জোট। কিন্তু সন্ধেবেলা বিজেপির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় বৃহস্পতিবার সকালে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন ইয়েদুরাপ্পা। পরে অবশ্য রাজভবনের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে ইয়েদুরাপ্পাকে সরকার গঠনে আমন্ত্রণ জানান হয়। এতে কার্যতই ক্ষুব্ধ কংগ্রেস রাতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। অবিলম্বে এই শপথ গ্রহণের ওপর স্থগিতাদেশ জারির আবেদন জানায় তাঁরা। মধ্যরাতে সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্তে বসে। পরে কংগ্রেসের এই আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজভবনে একটি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে শপথ বাক্য পাঠ করেন ইয়েদুরাপ্পা। তাঁর হাতে ১৫ দিন সময় রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাঁকে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে। এদিকে শপথ গ্রহণের সময়ে রাজভবনের বাইরে এদিন অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয় কংগ্রেস ও জেডিএস।
কর্ণাটক বিধানসভায় ১১২ ম্যাজিক ফিগার। বিজেপির ঝুলিতে রয়েছে ১০৪টি। সঙ্গে রয়েছে ১টি নির্দলের সমর্থন। ফলে দাঁড়াল ১০৫। অর্থাৎ এখনও দরকার ৭ বিধায়কের সমর্থন। যা তাদের কংগ্রেস বা জেডিএস ভাঙিয়েই পেতে হবে। যদিও বিজেপি দাবি করছে তাঁরা ঘোড়া কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত নয়। তাঁদের পাল্টা দাবি, কংগ্রেস ও জেডিএসের নির্বাচনের ফলাফল পরবর্তী জোট ২ দলেরই বেশ কয়েকজন বিধায়ক মানতে পারছেন না। তাঁরা বিজেপির পাশে দাঁড়াবে। ফলে তাঁদের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে অসুবিধা হবে না।
এদিকে কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ৭৮টি আসন। তারা নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে জেডিএসকে সরকার গড়তে আহ্বান জানিয়েছে। জেডিএসের ঝুলিতে রয়েছে ৩৮টি আসন। সাকুল্যে দাঁড়াল ১১৬। যা ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে বেশি। কংগ্রেস জেডিএস জোট আবার দাবি করছে ১১৬ নয় তাদের ঝুলিতে রয়েছে ১১৭ জন বিধায়কের সমর্থন। ১ জন নির্দল বিধায়ক তাঁদেরই সমর্থন দিচ্ছেন।
এই অবস্থায় বিজেপি যাতে দল ভাঙাতে না পারে সেজন্য কংগ্রেস ও জেডিএস বিধায়কদের একটি রিসর্টে কার্যত নজরবন্দি বানিয়েছে ২ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও শোনা যাচ্ছে কংগ্রেসের ৪ বিধায়ক নাকি সেখানে সেই। তাঁদের খোঁজও নেই কংগ্রেসের কাছে।