ঈশ্বরদর্শনে যাওয়ার পথে থমকে গেল যাত্রা। মন্দিরের অনতিদূরের পথ ভিজল তীর্থযাত্রীদের রক্তে। মৃত ১১ জনের মধ্যে অধিকাংশই কিশোর। উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত পূর্ণগিরি মন্দিরে যাচ্ছিলেন তাঁরা। পূর্ণগিরি মন্দির ৫১টি সতিপীঠের একটি। কথিত আছে এখানে সতীর নাভি পড়েছিল। সারা বছর মন্দিরটিতে ভক্তদের সমাগম লেগেই থাকে। পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত মন্দিরটিতে পৌঁছতে হয় খালি পায়ে। তারপর দেবী পূর্ণগিরির কাছে মনের ইচ্ছা জানিয়ে নিষ্ঠাভরে পুজো দেন ভক্তরা।
শুক্রবার ভোরে সতিপীঠের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করে ২৫০ জন তীর্থযাত্রী। তাঁদের অধিকাংশই উত্তরপ্রদেশের বরেলি শহরের বাসিন্দা। সার বেঁধে তীর্থযাত্রীর দল ধীরে ধীরে পাহাড়ি রাস্তা ধরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন গন্তব্যের দিকে। ভোর ৫টা নাগাদ আচমকা বিচাই এলাকায় তাঁদের ওপর এসে পড়ে ১টি ডাম্পার। পিছন দিক থেকে ছুটে আসা ডাম্পারটি ধাক্কা মারে তীর্থযাত্রীদের। বেশ কয়েকজন দ্রুতগতির ডাম্পারের তলায় চাপা পড়ে যান। কেউ কেউ ছিটকে পড়েন এদিক ওদিক। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান ৯ জন। গুরুতর জখম ২১ জন তীর্থযাত্রীকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মৃত্যু হয় আরও ২ জনের। আহতদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘাতক ডাম্পারটিকে আটক করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনার পরই চম্পট দেয় ডাম্পারের চালক। তার খোঁজ চলছে।