২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর রাতের নৃশংসতা আজও ভোলেননি দেশবাসী। দিল্লির রাজপথে বাসের মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন নির্ভয়া। ধর্ষণের পর তাঁর শরীরে লোহার রড ঢুকিয়ে পৈশাচিক উল্লাসে মেতে উঠেছিল ধর্ষকরা। ফের তেমনই এক ঘটনা সামনে এল মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। গত বৃহস্পতিবার ভোপালের প্রগতি নগর এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলার পচনধরা নগ্ন দেহ। ২৮ বছরের ওই মহিলার বাড়ি মধ্যপ্রদেশের সেহোর জেলার ইছাওয়ার শহরে। কয়েক মাস ধরে প্রগতি নগরের ওই ভাড়া বাড়িতে এক ব্যক্তির সঙ্গে থাকছিলেন ওই মহিলা। তাঁরা দু’জনেই শ্রমিকের কাজ করতেন বলে খবর। যদিও ওই মহিলা বাড়িতেই বেশিরভাগ সময় থাকতেন বলে দাবি প্রতিবেশিদের। গত বৃহস্পতিবার মহিলার ঘর থেকে পচা গন্ধ বার হওয়ায় থানায় খবর দেন তাঁরা।
পুলিশ এসে বন্ধ দরজা ভেঙে উদ্ধার করে মহিলার বিবস্ত্র দেহ। নির্যাতিতার দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিশ্চিত করে মহিলাকে গণধর্ষণের বিষয়টি। তাঁর ক্ষতবিক্ষত গোপনাঙ্গ থেকে পাওয়া যায় মদ ও ঠান্ডা পানীয়ের বোতলের ভাঙা টুকরো। পুলিশ জানাচ্ছে, ধর্ষণের পর অনেকটা নির্ভয়ার ধাঁচে নির্যাতিতার যোনিপথে মদ ও ঠান্ডা পানীয়ের বোতল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর মাথা সজোরে ঠুকে দেওয়া হয় দেওয়ালে। যে ব্যক্তির সঙ্গে ওই মহিলা ভাড়া বাড়িতে থাকতেন, তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণের পর খুন করার কথা অস্বীকার করেছে সে। বরং মৃতাকে নিজের চতুর্থ পত্নী বলে ওই ব্যক্তি দাবি করেছে।
তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, সম্ভবত ওই ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলছে। ভাড়া বাড়িতে ওই মহিলার সঙ্গে সে লিভ ইন সম্পর্কে ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকায় মৃতার পরিচিতদের অবশ্য দাবি, সম্প্রতি অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় ওই ব্যক্তির সঙ্গে মাঝেমাঝেই ঝামেলা হত মহিলার। তার জেরে তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।