মেয়ের সঙ্গে বাবা শারীরিক সম্পর্ক করতেই পারে। এতে অন্যায়ের কিছু নেই। এমনটা তো ঘরে ঘরেই হয়। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই। মেয়েকে মাসের পর মাস ধরে এমনটাই বুঝিয়ে গেছে বাবা। তারপর কখনও ফাঁকা ঘরে, কখনও অন্যত্র মেয়ের ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়ে গেছে সে। নির্যাতিতা কিশোরী ও তার সৎ মায়ের এমন মারাত্মক অভিযোগ প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছিল না পুলিশও। কিন্তু বছর ৩৭-এর অভিযুক্তকে জেরা করার পর বিশ্বাস হয় তাঁদের। কারণ, বয়ানে মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের বিষয়কে স্বাভাবিক বলেই একপ্রকার ঘুরিয়ে অভিযোগ স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। গুরুগ্রামের মানেশর থানার পুলিশ এমনটাই জানাচ্ছে।
গত ১৮ মে রাতে পতৌদি গ্রাম থেকে অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই গ্রামের একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করত সে। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সন্তান ১৩ বছরের কিশোরী এবং দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সে ওই গ্রামে থাকত। নির্যাতিতার দাবি, বিগত ৬ মাস ধরে বাবা তাকে লাগাতার ধর্ষণ করে গেছে। এই বিষয়ে বাবা তাকে মুখ বন্ধ রাখার হুমকিও দেয় বলে পুলিশকে জানিয়েছে ১৩ বছরের ওই কিশোরী। নিগৃহীতার এও দাবি, সৎ মাকে সে বাবার আচরণের ব্যাপারে খুলে বলে। কিন্তু মা সৎ মেয়ের কথা বিশ্বাস করেননি। কিন্তু কিছুদিন যাবত স্বামীর আচরণে সন্দেহ হওয়ায় শুক্রবার বিকেলে অভিযুক্তের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরেন। ঘরের মধ্যে মেয়েকে স্বামীর যৌন ক্ষুধার শিকার হতে দেখেন বলে দাবি কিশোরীর সৎ মায়ের। আর দেরি না করে এরপরই সৎ মেয়েকে নিয়ে থানার দ্বারস্থ হন তিনি। ওদিনই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।