
আদিবাসীদের ডাকে ১২ ঘণ্টার ভারত বন্ধের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ল রেল চলাচলে। সাঁওতালি ভাষার অধিক ব্যবহার, ইভিএম ছেড়ে ব্যালটে ভোট সহ ১০ দফা দাবিতে এদিন ভারত বন্ধের ডাক দেয় আদিবাসী সংগঠনগুলি। সোমবার সকাল থেকেই বিভিন্ন স্টেশনে অবরোধের জেরে রাজ্যের বিভিন্ন কোণায় ট্রেন আটকে পড়ে। দুর্ভোগের শিকরা হন যাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠায় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে দূরপাল্লার ট্রেন। জ্যৈষ্ঠের গরমে নাজেহাল হতে হয় যাত্রীদের। এরমধ্যেই মালদহ স্টেশনে আটকে পড়া একটি দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ ছিল ট্রেনের এসি কামরার শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। ট্রেনের বাথরুম পরিস্কার করা হয়নি। একে গন্তব্যে কখন পৌঁছবেন তার ঠিক ঠিকানা নেই। তার ওপর ট্রেনের এমন বেহাল পরিস্থিতি। সব মিলিয়ে ট্রেনে পরিবার নিয়ে টেকা দায় হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অনেক যাত্রী। রেল কর্তৃপক্ষে গাফলতির অভিযোগে প্ল্যাটফর্মেই সোচ্চার হন তাঁরা।
কম বেশি একই পরিস্থিতি এদিন ছিল পুরুলিয়া থেকে মালদহ, জলপাইগুড়ি থেকে উত্তর দিনাজপুর, সর্বত্র। ভোর ৬টা থেকেই আদিবাসী সংগঠনগুলি রেল লাইনের ওপর বসে পড়ে বিক্ষোভে সামিল হন। ফলে সকাল থেকেই বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে দূরপাল্লার বিভিন্ন ট্রেন। যারমধ্যে ছিল উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, আসানসোল-রাঁচি প্যাসেঞ্জার, পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস সহ বহু ট্রেন। শুধু পশ্চিমবঙ্গ বলেই নয়, বন্ধের জেরে রেল অবরোধ হয়েছে ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ সহ বেশ কিছু রাজ্যে।