থইথই জলে ভাসছে গ্রাম, শহর। বৃষ্টি থামলেও ভরসা করা যাচ্ছে না প্রকৃতিকে। ফের ভারী বর্ষণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বন্যার জলে আলগা হয়েছে মাটির স্তর। পাহাড়ি এলাকায় নামছে ধস। সমতলও শিকার হচ্ছে ভূমিধ্বসের। জাতীয় সড়ক চলে গেছে জলের তলায়। ডুবে আছে শত শত ঘরবাড়ি। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে ৩ হাজার মানুষ দুর্যোগের মধ্যে গিয়ে উঠেছেন রাজ্যে তৈরি হওয়া ৩৬টি ত্রাণ শিবিরে। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে নদীর জলস্তর। কবে জল নামবে? তার উত্তর নেই প্রশাসনের কাছে।
গত ৪ দিন ধরে কার্যত এভাবেই জলবন্দি জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছেন ত্রিপুরার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। প্রবল বন্যায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ অনেকে। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে সরকার। বন্যার স্রোতে রাজধানী আগরতলাও অবরুদ্ধ। গোমতী, দেও, মানু ও হাওড়া নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। সব মিলিয়ে বর্ষার আগেই চায়ের দেশ জলে জলময়। প্রকৃতির সঙ্গে যুঝে পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৎপরতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। বন্যার্তদের ক্ষতিপূরণের জন্য অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। এদিকে এখনও বহু গ্রামের মানুষ জল যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পাননি। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। জাতীয় সড়কও অনেক জায়গায় জলের তলায় চলে গেছে। রাজ্যের অনেক স্কুলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।