ফেসবুক বান্ধবীকে বিয়ে করার ব্যাপারে মত ছিল না বাড়ির লোকদের। পথের কাঁটা মা-বাবাকে সরিয়ে ফেলতে তাঁদের খুন করল ছেলে। এমনই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত ছেলে। দিল্লির জামিয়া নগর এলাকার এই ঘটনা রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছে অঞ্চলবাসীর মধ্যে। অভিযুক্ত ছেলে আব্দুল রেহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তে জানা গেছে, ২৬ বছরের যুবক আব্দুল বিবাহিত। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মা-বাবার পছন্দের মেয়েকে ২০১৭ সালে বিয়ে করে সে। মাত্রাতিরিক্ত মাদকাসক্তির কারণে সম্প্রতি চাকরি হারায় যুবক। এরই মাঝে ফেসবুকে কানপুরবাসী এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় যুবকের। ধীরে ধীরে অনলাইনের বন্ধুত্বে লাগে অনুরাগের ছোঁয়া। একসময় সোশ্যাল সাইটের আলাপচারিতা পরিণতি পায় ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের।
ফেসবুক বান্ধবীর সঙ্গে সামনাসামনি দেখা সাক্ষাৎ করতে থাকে যুবক। তাঁকে বিয়ে করার বিষয়ে আশ্বস্ত করে। কিন্তু ঘরে স্ত্রী সত্ত্বেও আরেকজনকে বিয়ের ব্যাপারে মত ছিল না যুবকের মা তসলিমা বানো ও বাবা শামিম আহমেদের। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আবদুল। অভিযোগ আড়াই লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২ জন সুপারি কিলারকে ভাড়া করে সে। পরিকল্পনামাফিক গত ২৮ এপ্রিল ভাড়াটে খুনিদের নিয়ে মা-বাবার ঘরে রাতে ঢোকে করে ওই আব্দুল। ঘুমন্ত দম্পতিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে তারা। এরপর মা-বাবার দেহ বাড়ির ভিতরেই লুকিয়ে ফেলে। কদিন কেটে যাওয়ার পর শ্বশুর-শাশুড়ির খোঁজ না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন যুবকের স্ত্রী। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তের বাড়ির একতলা থেকে প্রৌঢ় স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
দম্পতিকে খুনের ব্যাপারে পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়ে তাঁদের একমাত্র ছেলের ওপর। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। গত ২১ মে জেরায় ফেসবুক বান্ধবীকে বিয়ে করতে এবং সম্পত্তির দখল নিতে মা বাবাকে খুনের কথা অভিযুক্ত স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরপরেই আব্দুল ও তার কুকীর্তির সহযোগী নাদিম খান ও গুড্ডুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।