যেখানে ভূতের ভয়, সেখানে রাত্তির হয়। তাই আঁধার নামলেই ঘুম উড়ে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল ৮ ছাত্রীর। কারণ, হস্টেলের যত্রতত্র ভূতের উপদ্রব। সেই ভূতের অবশ্য কারোর ঘাড়ে চাপার কোনও ইচ্ছাই ছিল না। বরং তার উদ্দেশ্য ছিল আরও খারাপ। অন্ধকারে মুখে ঢাকা দিয়ে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করাই ছিল তার মতলব! এমন কুকর্ম ভূত যে করতে পারেনা সেকথা ধীরে ধীরে বুঝতে পারছিল উত্তরপ্রদেশের মেরঠের কস্তুরবা গান্ধী রেসিডেনশিয়াল গার্লস বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা।
তাই একটা সময় পর ভূতকে হাতে নাতে পাকড়াও করতে তাঁরা তক্কে তক্কে থাকে। ভৌতিক রহস্যের পর্দা ফাঁসও করে ফেলে ৮ ছাত্রী। তাঁরা দেখে, অশরীরী আত্মা নয়, জলজ্যান্ত মানুষ ভূত সেজে এতদিন ঘুরে বেড়াচ্ছিল হস্টেল প্রাঙ্গণে। মানুষরূপী সেই ভূত আসলে তাঁদের হস্টেলেরই মহিলা ওয়ার্ডেন। অভিযোগ, মাঝে মাঝে রাতের দিকে মুখে কাপড় বেঁধে হস্টেলের ঘরে ঘুরে বেড়াত পুনম ভারতী নামে ওই মহিলা ওয়ার্ডেন। ছাত্রীদের ভয় দেখানোর কাজে তার দোসর হয়েছিল আরও এক ব্যক্তি। তারা দুজনে মিলে হস্টেলে পায়চারি করার সময় সুগন্ধী জাতীয় একধরণের তরল স্প্রে ছড়িয়ে দিত। বিড়বিড় করে কারোর সঙ্গে কথা বলার ভান করত। এমনকি ঘুমন্ত ছাত্রীদের কাপড়, মাদুর, হাত, পা টেনে দিত বলে দাবি ছাত্রীদের।
ভূত সাজা ওয়ার্ডেনের অত্যাচারে একপ্রকার তিতিবিরক্ত হয়ে গত মঙ্গলবার জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ৮ পড়ুয়া। অভিযুক্ত মহিলা ওয়ার্ডেন অবশ্য ছাত্রীদের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তদন্তের আর্জি জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে। যদিও সেই আর্জিকে গুরুত্ব না দিয়েই অভিযুক্ত মহিলা ওয়ার্ডেনকে সাসপেন্ড করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।