জেন ওয়াইদের নয়নের মণি হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যক্তিগত হোক বা গ্রুপ চ্যাট হোক, জনপ্রিয় সোশ্যাল অ্যাপ ছাড়া জীবনটা অচল সিকির সমান বলে মনে করে আধুনিক প্রজন্ম। অথচ সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে কিনা বার করে দিল গ্রুপ অ্যাডমিন? সহপাঠীর এমন পদক্ষেপ মানতে পারেনি কৃষি বিজ্ঞানের প্রথম বর্ষের ছাত্র শচীন গাড়াখ। অভিযোগ, গ্রুপ অ্যাডমিন চৈতন্য শিবাজি ভোরকে শায়েস্তা করতে তক্কে তক্কে ছিল সে।
গত ১৭ মে তার সামনে আসে ‘প্রতিহিংসা’ নেওয়ার মস্ত সুযোগ। মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর-মানমাদ রোডের একটি খাবারের দোকানে তারই কলেজের সহপাঠী তথা গ্রুপ অ্যাডমিন খাচ্ছিলেন। এই খবর শচীন তার বন্ধু অমল গাড়াখকে জানায়। অভিযোগ, দোকানে বসে খাওয়ার সময় বছর ১৮-র চৈতন্যের ওপর চড়াও হয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বহিষ্কৃত তরুণের বন্ধু অমল ও আরও ২ জন। আক্রান্ত ছাত্রের দাবি, ৩ হামলাকারী মিলে তাঁর পেট, মুখ, পিঠ ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। তরুণের চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে জড়ো হলে ৩ জন পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত গুরুতর জখম তরুণকে নিয়ে এলাকাবাসী স্থানীয় হাসপাতালে হাজির হন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তরুণকে নিয়ে ভর্তি করা হয় পুনের একটি হাসপাতালে। আহত চৈতন্য, তাঁর পরিবার ও সহপাঠীরা গোটা ঘটনার পিছনে শচীন গাড়াখের হাত আছে বলে অভিযোগ জানান পুলিশের কাছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক ৪ অভিযুক্ত। তাদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।