প্রায় ২ মাস ধরে বেপাত্তা গৃহকর্তা। তাই মে-র ১১ তারিখ অসমের বিশ্বনাথ চারিআলি থানার দ্বারস্থ হয় নিখোঁজের পরিবার। পুলিশের কাছে গৃহকর্তার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিখোঁজ ব্যক্তির বাড়ির লোকের কথায় খটকা জন্মায় পুলিশ আধিকারিকদের মনে। পুলিশ গত মঙ্গলবার উপস্থিত হয় নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ব্যক্তির বাড়িতে। সন্দেহ হওয়ায় বাড়ির পিছনের দিকের জমিতে খোদাই শুরু করেন তদন্তকারীরা। সন্দেহই সত্যি হয়। মাটির ১৫ ফুট গভীর থেকে এক ব্যক্তির গলাপচা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বুঝতে বাকি থাকে না, ইনিই সেই, যিনি গত ২ মাস ধরে নিখোঁজ। মৃত ব্যক্তির বাড়ির লোককে ফের জেরা করে পুলিশ।
জেরায় পুলিশ জানতে পারে, মার্চের ৩ তারিখ রাত ১১টার সময় ফাঁকা বাড়িতে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বাবা। ধর্ষণে বাধা দিলে বাবা তাঁকে কুড়ুল দিয়ে মারতে যায় বলে অভিযোগ বছর ২৫-এর যুবতীর। নিজেকে বাঁচাতে পাল্টা বাবাকে সে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে মেয়ে। পরে ওই যুবতী তাঁর মা ও দাদাকে সমস্ত ঘটনা খুলে জানায়। বাবার মৃত্যুর খবর ধামাচাপা দিতে মা ও দাদার সাহায্যে অন্য ঘরে দেহ প্লাস্টিকে মুড়ে লুকিয়ে ফেলেন তিনি। পরের দিন সকালে বাকি ২ বোন মা, দাদা ও দিদির কাছ থেকে জানতে পারে আগের রাতের ঘটনা। সকলে মিলে লাশ গায়েব করতে ৪ দিন ধরে বাড়ির পিছনের জমিতে কুড়ুল দিয়ে গভীর গর্ত খোঁড়েন। যাতে কোনওভাবেই মৃতদেহ বাইরে বেরিয়ে না আসে। পচা গন্ধ না ছড়ায়। মার্চের ৭ তারিখ গভীর গর্তে মৃতের দেহ পুঁতে দেন তাঁরা।
প্রায়শই ৭১ বছরের ওই ব্যক্তি মেয়েকে উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ পরিবারের। তবে ওই ব্যক্তিকে হত্যার পিছনে জমি সংক্রান্ত বিবাদও থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। মৃতের স্ত্রী, ছেলে ও ৩ মেয়েকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।