২২৫ আসনের বিধানসভায় ২২২টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। আর তারমধ্যে মাত্র ৩৭টি আসন তাঁর দলের ঝুলিতে। তারপরও কংগ্রেসের সমর্থনে তিনিই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এটা হয়তো কোথাও কর্ণাটকে নয়া মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীকে কুড়েকুড়ে খাচ্ছিল। তাই সেই মর্মযন্ত্রণা প্রকাশ করে ফেললেন তিনি। তাও একেবারে সংবাদমাধ্যমের সামনে।
কুমারস্বামী প্রায় আক্ষেপের সুরেই জানিয়েছেন, তিনি তাঁর রাজ্যের সাড়ে ৬ কোটি মানুষের সমর্থন চেয়েছিলেন। কিন্তু পাননি। তাই এখন তিনি কংগ্রেসের দয়ায় মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী হয়েও একটা সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তাঁকে কংগ্রেস নেতাদের থেকে অনুমতি নিতে হবে। তবেই তিনি তা করতে পারবেন। তবে কুমারস্বামী একথাও পরিস্কার করে দিয়েছেন, তাঁর প্রথম লক্ষ্য কৃষকদের ঋণ মাফ করা। তিনি সেই লক্ষ্য পূরণে লড়াই চালাবেন। আর যদি তা করতে তিনি ব্যর্থ হন তাহলে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।
এদিকে কুমারস্বামীর এমন বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়ায় রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গেছে। এখনও তো কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের মধুচন্দ্রিমাও শেষ হয়নি। তার মধ্যেই কী তবে কংগ্রেসের সঙ্গে মনোমালিন্য শুরু হয়ে গেল জেডিএস প্রধানের? প্রশ্ন ভেসে বেড়াচ্ছে। তবে কংগ্রেসের তরফ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।