বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটের মাধ্যমে শুরু হয়েছে ক্যাম্পেন। পর্যটকদের প্রতি আবেদন। আবেদন সিমলার স্থানীয় বাসিন্দাদের। কি অবেদন? সিমলাবাসী অনুরোধ করছেন তাঁদের শহরে কিছুদিন অন্তত পর্যটকরা যেন পা না রাখেন। গরমে পাহাড়ের রানি সিমলার অমোঘ টান বহু পর্যটককেই টেনে নিয়ে যায় সেখানে। দিনে গড়ে সেখানে পা পড়ে ২০ হাজার পর্যটকের। সিমলার অর্থনীতিতেও বড় অবদান রয়েছে পর্যটনের। সেখানে পর্যটকদেরই আসতে মানা করছে সিমলা! তাও আবার বছরের সেই সময়ে, যখন সেখানে পর্যটকদের ভিড় থাকে সবচেয়ে বেশি!
এমনি এমনি এমন আবেদন করেননি সিমলাবাসী। প্রবল জলকষ্ট থেকে বাধ্য হয়েই তাঁদের এই আবেদন। বিগত ক’দিন ধরেই প্রবল জলকষ্টে ভুগছেন সিমলাবাসী। দিনে প্রায় ৫০ মিলিয়ন লিটার জলের প্রয়োজন রয়েছে শহরের। কিন্তু এখন সেখানে সিমলা পাচ্ছে দিনে ১৮ মিলিয়ন লিটার জল। যা দিয়ে তাঁদেরই কুলচ্ছে না। এরপর পর্যটকরা এলে তো আর কথাই নেই! জলের অভাবে সেখানে প্রবল ক্ষোভও জন্মেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ পর্যন্ত হয়ে গেছে। প্রশাসনের তরফে চেষ্টা চলছে জলের গাড়ি এনে অবস্থার ঠেকনা দেওয়ার। যদিও তাতে অবস্থার তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। আপাতত তাই বর্ষার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের আশা বর্ষা নামলে অবস্থার উন্নতি হবে। মিটবে এই চরম জলকষ্ট।