National

ভারত বন্‌ধে দেশজুড়ে মিশ্র প্রভাব

ভারত বন্‌ধের সার্বিক প্রভাব পড়ল ত্রিপুরা ও কেরালায়। কেরালায় এদিন সকাল থেকেই সর্বাত্মক বন্‌ধ পালিত হয়েছে। বামেদের এই রাজ্যে স্কুল, কলেজ, অফিস, দোকানপাট সবই ছিল বন্ধ। রাস্তায় কোনও গাড়ির দেখা মেলেনি। লাগোয়া রাজ্য কর্ণাটকের কিছু অংশে এই একই ছবি ধরা পড়লেও গোটা রাজ্যে তা দেখতে পাওয়া যায়নি। মেঙ্গালুরুতে সরকারি বাসকে লক্ষ করে পাথর বর্ষণের খবর মিলেছে। বেঙ্গালুরুতেও যানবাহনের সংখ্যা ছিল কিছুটা কম। ফলে এখানে অফিস যেতে সাধারণ মানুষকে সামান্য কাঠখড় পোড়াতে হয়।

বাম শাসিত ত্রিপুরায় বন্‌ধের প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতন। বন্‌ধের ভাল প্রভাব পড়েছে তেলেঙ্গানাতেও। এখানে অনেক কলকারখানাই এদিন বন্ধ ছিল। বন্‌ধের প্রভাব পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবনেও। ওড়িশায় বন্‌ধের আংশিক প্রভাব পড়েছে। অনেক জায়গায় বন্‌ধ সমর্থকেরা রেল অবরোধ করেন। ফলে সকালেই বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে ফলকনামা-নীলাচল এক্সপ্রেস, ধৌলি এক্সপ্রেস, নয়াদিল্লি-ভূবনেশ্বর এক্সপ্রেস, করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস, জনশতাব্দী এক্সপ্রেস সহ বহু দূরপাল্লার ট্রেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা।


দিল্লি বা মুম্বইতে বন্‌ধের তেমন কোনও প্রভাব না পড়লেও মুম্বইতে অনেক সরকারি দফতর ছিল ফাঁকা। দিল্লিতে জনজীবন ছিল স্বাভাবিক। যান চলাচল ছিল আর পাঁচটা‌ দিনের মতই। তবে মহারাষ্ট্রের অন্যান্য বেশ কিছু জায়গায় রাস্তা অবরোধ করেন বন্‌ধ সমর্থকেরা। তামিলনাড়ুতে বন্‌ধের কোনও প্রভাবই পড়েনি। তবে হরিয়ানায় বন্‌ধের আংশিক প্রভাব দেখতে পাওয়া গেছে। এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা তৈরি করে যানবাহনের অপ্রতুলতা। যানবাহনের অপ্রতুলতা উত্তরপ্রদেশে‌ও বন্‌ধকে কিছুটা হলেও সফল করেছে। সরকারি, বেসরকারি কোনও বাসই এদিন উত্তরপ্রদেশে রাস্তায় নামেনি।

এদিকে রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারিরা এদিনের বন্‌ধে যোগ দেওয়ায় অধিকাংমশ সরকারি ব্যাঙ্ক ও তাদের এটিএম পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। তবে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি সবই ছিল খোলা। কাজও হয়েছে স্বাভাবিক নিয়মে। বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএমও এদিন অন্যান্য দিনের মতই খোলা থেকেছে।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button