এই পৃথিবী তাঁদের একসাথে বাঁচতে দেবে না, তাই নিজেরা একাত্ম হতে এই পৃথিবী থেকে অনেক দূরে চলে যাচ্ছেন তাঁরা। এটাই ছিল সবরমতি নদীর ধারের কংক্রিটের বাঁধানো স্ল্যাবে রাখা সুইসাইড নোট। যা ২ মহিলা জলে ঝাঁপ দেওয়ার আগে রেখে দিয়ে যান। গুজরাটের আমেদাবাদের গা ঘেঁষে বয়ে গেছে সবরমতি নদী। সোমবার সেই নদীতেই সলিল সমাধি হল ৩টি প্রাণের। যারমধ্যে একজন সবে দেখেছে পৃথিবীর আলো। সে জানতেও পারল না কেন তার এই পরিণতি? তার দোষটা কী?
পুলিশ জানাচ্ছে, সবরমতির ধারে এদিন হাজির হন ২ মহিলা আশা থাকর ও ভাবনা থাকর। তাঁদের সঙ্গে ছিল এক ৩ বছরের শিশুকন্যা। সকলকে অবাক করে প্রথমে শিশু কন্যাটিকে নদীর জলে ছুঁড়ে দেন ওই ২ মহিলা। তারপর নিজেদের একটি ওড়না দিয়ে বেঁধে তাঁরাও ঝাঁপ দেন সবরমতির জলে। ঝাঁপ দেওয়ার আগে কংক্রিটের ওপর রেখে যান একটি চিঠি। সুইসাইড নোট।
পুলিশ জানতে পেরেছে ওই ২ মহিলার মধ্যে একজন বিবাহিতা। তাঁরই সন্তান ওই ৩ বছরের শিশুকন্যাটি। কিন্তু ওই যুবতী বিবাহিতা হলেও তাঁর সঙ্গে অন্য মহিলার সমকামী সম্পর্ক ছিল। যাকে কেন্দ্র করে ক্রমশ জটিল হচ্ছিল তাঁদের পারিবারিক জীবন। তাঁদের সুইসাইড নোট থেকেও তেমন একটা ইঙ্গিত পাচ্ছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে সকলের একটাই প্রশ্ন, ওই দুধের শিশুটা কী দোষ করেছিল যে তাকে এমন মর্মান্তিক মৃত্যু বরণ করতে হল?