National

বসের আদিম লালসার শিকার যুবতী কর্মী

এক বছরের ছেলের সামনেই বসের লালসার শিকার হতে হল এক যুবতীকে। একবার নয়, দিনের পর দিন বসের এই ভয়ংকর চাহিদা মেটাতে হয়েছে তাঁকে। তাও মুখ বুজে। পরে স্বামীকে সব খুলে বলেন ওই যুবতী। স্বামীর পরামর্শেই পুলিশের কাছে সাহস করে অভিযোগও দায়ের করেন। অভিযুক্ত বস ফেরার। তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত গত জানুয়ারিতে। বেঙ্গালুরুতে নির্মাণ সামগ্রির একটি সংস্থায় কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ পদে চাকরি পান বছর ২৩-এর ওই যুবতী। ওই যুবতী পুলিশকে জানিয়েছেন, প্রথমে সব ঠিকঠাক চললেও সংস্থার এক অংশীদার টি বিবেকানন্দ-র তাঁর ওপর কুনজর ছিল। অভিযোগ মাস দুয়েক পর মার্চে সরাসরি সে ওই যুবতীকে কুপ্রস্তাব দেয় বিবেকানন্দ। কিন্তু তখন কড়া গলায় তার প্রতিবাদ করেন ওই যুবতী। এরপর এমন করলে পুলিশে জানানোরও ভয় দেখান তিনি। অগত্যা বিষয়টা তখনকার মত ধামাচাপা পড়ে যায়। কিন্তু অভিযুক্তের মাথা থেকে ওই যুবতীকে ভোগ করার আদিম ইচ্ছা দূর হয়নি। গত এপ্রিলে সংস্থার তরফে কোডাগু এলাকায় একটি ফিল্ড ট্রিপের আয়োজন করা হয়। যেখানে ওই যুবতীর উপস্থিতি আবশ্যিক করা হয়। প্রথমে আপত্তি থাকলেও কোডাগুতে তাঁর বাপের বাড়ি হওয়ায় রাজি হয়ে যান ওই মহিলা। সঙ্গে নিজের ১ বছরের সন্তানকেও নিয়ে যান। অভিযোগ কোডাগু পৌঁছনোর পর সেখানে একটি পাঁচতারা হোটেলের একটি ঘরে দুই বসের সঙ্গে তাঁকে থাকতে বাধ্য করা হয়। যেখানে টি বিবেকানন্দও ছিল। ওই যুবতী ঠিক করেন রাতে তিনি মায়ের কাছে চলে যাবেন। কিন্তু মাকে ফোন করলে তিনি হোটেল থেকে বার হতে মানা করেন। কারণ কাছেপিঠেই নাকি কোনও হিংস্র জানোয়ার বার হয়েছে। তাই বাচ্চা নিয়ে রাতে এভাবে রাস্তায় বার হওয়া ঝুঁকির হয়ে যাবে। বাধ্য হয়ে ছেলেকে নিয়ে হোটেলেই থাকতে হয় ওই যুবতীকে। সেদিন রাতে কোনও সমস্যা হয়নি। পরদিন সকালে বাকি সব অংশীদার বেঙ্গালুরু ফিরে গেলেও টি বিবেকানন্দ থেকে যায়। অফিসের কাজের অজুহাতে ওই যুবতীকেও হোটেলের ওই ঘরে থাকতে বাধ্য করা হয়। ওই যুবতীর দাবি, তিনি যখন হোটেলের বাথরুমে স্নান করছিলেন, তখন সেই দৃশ্য লুকিয়ে ক্যামেরাবন্দি করে নেয় টি বিবেকানন্দ। তারপর তিনি স্নান সেরে বার হলে সেই ছবি ওই যুবতীকে দেখিয়ে তা ইন্টারনেটে আপলোড করে দেওয়ার ভয় দেখায় সে। যুবতীর দাবি, তাঁকে যৌন সম্পর্ক তৈরি করতে চাপ দেয় বিবেকানন্দ। ভয় দেখায় তা না করলে সব ছবি ইন্টারনেটে আপলোড হয়ে যাবে। সেই আতঙ্কে বিবেকানন্দর সব দাবি মানতে বাধ্য হন তিনি। অভিযোগ প্রথমে কয়েকদিন হোটেলেই তাঁকে বারবার ধর্ষণ করে বিবেকানন্দ। তাতেও আশ মেটেনি! এরপর কাছের একটি বাড়ি ভাড়া নেয় সে। সেখানে ওই যুবতীকে নিজের স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়ে নিয়ে গিয়ে ওঠে। তারপর সেখানেও দিনরাত চলে ওই যুবতীর ওপর নির্বিচার অত্যাচার। অবশেষে অভিযুক্তের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে ওই যুবতী নিজের স্বামীকে সব জানান। স্বামীর পরামর্শেই হাজির হন পুলিশের কাছে। খুলে বলেন সবকিছু। এদিকে বেগতিক বুঝে বেঙ্গালুরু ছেড়ে গা ঢাকা দেয় টি বিবেকানন্দ। সংস্থার অন্য অংশীদারদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযুক্তের নাগাল পেতে সবরকম চেষ্টা শুরু করেছে পুলিশ। হন্যে হয়ে খোঁজ চলছে অন্য রাজ্যেও।



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button