অসম, ত্রিপুরা ও মণিপুর। উত্তরপূর্বের এই ৩ রাজ্যে গত ২ দিন ধরে একটানা বৃষ্টি হয়েই চলেছে। যার জেরে দ্রুত অবস্থার অবনতি হচ্ছে। বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় ধস নামছে। ইতিমধ্যেই ধস ও বজ্রপাতের কবলে পড়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যারমধ্যে মণিপুরে ২ জন ও ত্রিপুরায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বহু মানুষ বন্যার জেরে ঘরছাড়া। গ্রাম তো বটেই এমনকি বিভিন্ন শহরেও জল ঢুকতে শুরু করেছে। নদীগুলির জল বেড়েই চলেছে। বহু এলাকা জলের তলায়। মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলের অবস্থাও শোচনীয়। ত্রিপুরাতেও একই পরিস্থিতি। ত্রিপুরার বহু এলাকা জলের তলায়।
অসমের কার্বি আংলং ইস্ট, কার্বি আংলং ওয়েস্ট, বিশ্বনাথ, করিমগঞ্জ, গোলাঘাট, হাইলাকান্দি জেলার পরিস্থিতি ভয়ংকর। এসব জেলার অধিকাংশ এলাকাই জলের তলায় চলে গেছে। হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া। তাঁদের অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে জায়গা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই অসমে ১০ হাজারের ওপর ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। বরাক নদীর জল হুহু করে বাড়ছে। সীমান্তবর্তী রাজ্য মেঘালয়ে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নেমে যোগাযোগ ব্যবস্থা জটিল করে তুলেছে। ওই রাস্তায় গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ। এদিকে বন্যা বিধ্বস্ত ৩ রাজ্যের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। মণিপুর সরকার স্কুল, কলেজ ও রাজ্য সরকারি অনেক দফতরে ছুটি ঘোষণা করেছে। মিজোরামেও বৃষ্টির কারণে অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। এদিকে চিন্তা আরও বাড়িয়েছে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। উত্তরপূর্বের বন্যা বিধ্বস্ত রাজ্যগুলিতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে তারা।