বন্যা বিধ্বস্ত কেরালায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবারও একটি ৯ বছরের বালিকা সহ ৪ জনের ধসের কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে কেরালার থামারাসেরির কাট্টিপারা গ্রামে। প্রসঙ্গত গত ২ সপ্তাহ হল কেরালায় বর্ষা পা রেখেছে। আর বর্ষা প্রবেশের পর থেকেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে প্রবল বর্ষণ। যার জেরে বিভিন্ন এলাকায় ধস নামছে। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে নদী। নদীর জল ভয়ংকর চেহারা নিয়ে সব লণ্ডভণ্ড করে দিচ্ছে। বর্ষা শুরুর পর থেকে মাত্র ২ সপ্তাহে কেরালায় ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই ঘটেছে ধসে চাপা পড়ে। বৃহস্পতিবার কোঝিকোড়ে ১০ জন জলের তোড়ে ভেসে গেছেন। তাঁদের এখনও কোনও খবর নেই।
কেরালার আলাপ্পুজা ও কোঝিকোড় জলের তলায় চলে গেছে। পাহাড়ি এলাকা মালাপ্পুরম, ওয়ানাদে বার বার ধস নামছে। যার শিকার হচ্ছেন স্থানীয় মানুষজন। ভারথাপুঝা, সিরুভানি ও ভবানী, এই ৩ নদী ভয়ংকর চেহারা নিয়ে বয়ে চলেছে। নদীর জলের প্রবল তোড়ে ভেসে গেছে বহু এলাকা। ভেঙে পড়েছে ব্রিজ। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ২৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। বহু মানুষ বিভিন্ন প্রান্তে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। অনেক জায়গায় প্রশাসনের তরফে স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। সন্ধের পর পাহাড়ি এলাকায় বাড়ি থেকে বার হতে নিষেধ করা হয়েছে। এদিকে চিন্তা আরও বাড়িয়েছে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে যা পরিস্থিতি তাতে এখনও আগামী ৫ দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। এখনই এই অবস্থা। আগামী ৫ দিন এমন চললে যে রাজ্যের কী পরিস্থিতি হবে তা ভেবে কার্যত কেরালা সরকারের রাতের ঘুম উড়েছে।