১৩ বছরের কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল মাথার ওপর। চলছিল বিচারপর্ব। শুক্রবার সেই মামলায় স্বামীর বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল স্ত্রীর। কিন্তু সে সুযোগ তাঁকে দিল না স্বামী। আদালতে ঢোকার মুখেই ছুরি দিয়ে সর্বসমক্ষে স্ত্রীয়ের গলা কেটে দিল সে। এরপরই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার আকস্মিকতায় আদালত চত্বরে হৈচৈ পড়ে যায়।
১১ মাস আগের কথা। অসমের নাহারকাটিয়ার বাসিন্দা মধ্যবয়স্ক পূর্ণ নাহার ডেকার বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ করেন তার স্ত্রী রিতু। স্ত্রীয়ের অভিযোগক্রমে পুলিশ পূর্ণ ডেকাকে গ্রেফতার করে। পরে অবশ্য জামিনে মুক্তি পায় সে। মামলা চলছিল। সেই মামলার শুক্রবার শুনানি ছিল ডিব্রুগড়ের জেলা আদালতে। এদিন আদালতের সামনে জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল ডেকার স্ত্রীর। বাবা হয়ে কীভাবে ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করার মত নির্মম অত্যাচার সে করেছে সেটাই আদালতের সামনে তুলে ধরার কথা ছিল নিতুর।
শুনানি থাকায় এদিন ২ জনেই আলাদা আলাদা আদালতের সামনে হাজির হয়। আগেই পৌঁছেছিল ডেকা। তারপর তার স্ত্রী আদালতে ঢোকার আগেই সে গিয়ে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর গলায় ছুরি চালিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নিতুর। পুলিশ ঘটনার পরই ডেকাকে গ্রেফতার করে।