ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ও অস্বাভাবিক হারে বিমার প্রিমিয়াম বৃদ্ধি। এই ২ ইস্যুকে সামনে রেখে সোমবার থেকে দেশ জুড়ে শুরু হল অনির্দিষ্টকালের ট্রাক ধর্মঘট। ট্রাক মালিক সংগঠনগুলির দাবি, বারবার কেন্দ্রের কাছে দরবার করেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। ফলে তাদের বাধ্য হয়েই ধর্মঘটের পথে যেতে হয়েছে। এদিন ট্রাক ধর্মঘটের জেরে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই প্রায় ৪ লক্ষ ট্রাক রাস্তায় নামেনি।
আমজনতার দৈনন্দিন খাদ্যপণ্যের প্রয়োজন মেটায় বিভিন্ন বাজার, দোকান। পাইকারি বাজারে পণ্যের যোগান ঠিক থাকলে বিভিন্ন বাজারেও যোগান ঠিক থাকে। আর পাইকারি বাজারে পণ্য পৌঁছে দেয় ট্রাক। আলু থেকে পেঁয়াজ, আনাজ থেকে ডিম, মাছ। সবই বাজার অব্ধি নিয়ে আসে ট্রাক। আর সেই পণ্য পরিবহণের একমাত্র মাধ্যমই এখন ধর্মঘটে। ফলে বাজারে টান তৈরির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। আর যোগান কম হলে তার সঙ্গে চাহিদার খাপ খাওয়ানো সম্ভব নয়। চাহিদা মত যোগান না থাকলে জিনিসের দামও বাড়বে। সঙ্গে কালোবাজারির একটা সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা। অবস্থার সুযোগ নিয়ে কিছু অসৎ মানুষ কালোবাজারিতে নেমে পড়তে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে। সবমিলিয়ে আমজনতার কিন্তু কপালের চিন্তার ভাঁজ পুরু হচ্ছে।