সাড়ে ৩ বছর আগে বেশ ঘটা করেই পিডিপি-বিজেপি গাঁটছড়া বেঁধে জম্মু কাশ্মীরে সরকার গঠন করেছিল। সেই সাড়ে ৩ বছরের পথচলায় এদিন দাঁড়ি টানল বিজেপিই। বিজেপির তরফে এদিন জানানো হয়, জম্মু কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ বেড়েই চলেছে। রমজান মাসে উপত্যকায় কেন্দ্রের তরফে অস্ত্র বিরতি বজায় ছিল। এই অবস্থায় ইদের পর তাই উপত্যকায় সংঘর্ষ বিরতিতে ইতি টেনে সোমবার থেকে পথে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। শুরু হয় জঙ্গিদমন কার্যকলাপও। বিজেপি চাইছে এই অবস্থান বজায় রাখতে। কিন্তু পিডিপি তাতে রাজি নয়। পিডিপি চাইছে অস্ত্র বিরতি বজায় রেখে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে বৈঠক করে সমাধানসূত্র বার করুক কেন্দ্র। এই বিপরীতমুখী অবস্থানই পিডিপি-বিজেপি দূরত্বে শেষ পেরেক পুঁতে দেয়। বিজেপি এদিন জানিয়ে দেয় তাদের পক্ষে আর পিডিপর সঙ্গে একসঙ্গে পথচলা সম্ভব নয়।
বিজেপি মেহবুবা মুফতি সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের পরেই সে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়। সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। বিজেপির তরফে রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে জোরদার সওয়াল করা হয়। অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় জম্মু কাশ্মীরে সরকার পতনে দায়ী বিজেপি-পিডিপি দুপক্ষই। তারা যে পিডিপিকে এই অবস্থায় কোনও সমর্থন দেবেনা তাও স্পষ্ট করে দেয় কংগ্রেস। এরপরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি রাজ্যপালের কাছে ইস্তফাপত্র পেশ করেন।
অন্যদিকে জম্মু কাশ্মীরের অন্যতম বিরোধী দল ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা এদিন জানান, এই অবস্থায় রাজ্যপালকে দিয়ে রাজ্য বেশিদিন চলা উচিত নয়। ওমর চাইছেন এই অবস্থায় সেই জনতার দরবারেই ফিরে যেতে। জম্মু কাশ্মীরে ভোট চেয়ে এদিন সওয়াল করেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা।