গত সোমবার থেকে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে ট্রাক ধর্মঘট। খাদ্যপণ্য সহ অন্যান্য জিনিসের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম উপায় ট্রাক। পণ্য পরিবহণের সেই প্রধান ভরসা ট্রাকের চাকা গত সোমবার থেকে স্তব্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন রাস্তার ধারে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে হাজার হাজার ট্রাক। ট্রাক মালিক সংগঠনগুলির দাবি, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ও অস্বাভাবিক হারে বিমার প্রিমিয়াম বৃদ্ধিকে সামনে রেখে বারবার কেন্দ্রের কাছে দরবার করেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। ফলে তাদের বাধ্য হয়েই ধর্মঘটের পথে যেতে হয়েছে।
এদিকে ট্রাক ধর্মঘট বুধবার তৃতীয় দিনে পড়লেও সরকারের তরফে সমাধান সূত্র বার করার উদ্যোগে তেমন উৎসাহ নজরে পড়ছে না। সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেওয়ার ভঙ্গিতেই রয়েছে। অথচ দেশ জুড়ে ট্রাকের চাকা যদি দিনের পর দিন এভাবে স্তব্ধ হয়ে থাকে তবে তার প্রভাব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামে পড়তে বাধ্য। যা সরাসরি আমজনতার মাথায় হাতের কারণ হবে। চাহিদার তুলনায় যোগানে তারতম্য হলে জিনিসের দাম বাড়বে। সুযোগ বুঝে বাড়তে পারে কালোবাজারিও। ফলে এই সমস্যার সমাধানে সরকারের অবিলম্বে ভাবা উচিত বলেই মনে করছেন আমজনতা।