একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের খাবারে বিষ মেশানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক ২৩ বছরের গৃহবধূকে। বিষে ইতিমধ্যেই ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যারমধ্যে ২ জন নাবালক। হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ৮৮ জন। তাঁদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশের কাছে বিষ মেশানোর কথা স্বীকার করেছে ওই গৃহবধূ। তার দাবি, বিয়ের পর থেকে লাগাতার তার গায়ের রং আর রান্না নিয়ে খোঁটা দিয়ে আসছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। যে দলে তার স্বামীও ছিলেন। তাই ক্ষোভে সে চেয়েছিল সকলকে শাস্তি দিতে। তাই সাপ মারার বিষ ডালে মিশিয়ে দিয়েছিল।
মহারাষ্ট্রের খালাপুরের বাসিন্দা সুরেশ গোবিন্দ সুরভাসের সঙ্গে ২ বছর আগে বিয়ে হয় প্রদ্ন্যা সুরভাসের। প্রদ্ন্যার গায়ের রঙ কালো। সে গায়ের রঙ নিয়ে নাকি বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় হাসিঠাট্টা। যাতে তার স্বামী,শাশুড়ি, ননদ, মাসি শাশুড়ি সকলেই সামিল ছিলেন। শুধু গায়ের রং বলেই নয়, তার রান্নাও নাকি মুখে তোলা যায়না বলে খোঁটা শুনতে হত সকলের।
ফলে মনের কোণে ক্ষোভ বাসা বাঁধছিল। গত সোমবার মানাদে তাদের আত্মীয় সুভাষ মেনের বাড়িতে ছিল নিমন্ত্রণ। শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন সেখানে। উপস্থিত ছিল সুরভাসে পরিবারও। যাঁরা তার রং আর রান্না নিয়ে নিরন্তর খোঁটা দিতেন তাঁদের সকলকে একসঙ্গে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে অতিথিদের ডালে সাপ মারার বিষ মিশিয়ে দেয় প্রদ্ন্যা। এমনই অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। এদিকে ওই ডাল খাওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই অতিথিদের বমি শুরু হয়। সঙ্গে প্রবল পেটের যন্ত্রণা। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রদ্ন্যাকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশের কাছে সে সব কথা স্বীকার করে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে যাদের মারতে এত কাণ্ড তাঁদের কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। মৃত্যু হয়েছে অন্য ৫ অতিথির। বাকি প্রায় ৮৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।