
ভারতীয় সেনার মেজর পদমর্যাদার আধিকারিক নিখিল হাণ্ডাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ভারতীয় সেনার আর এক মেজর অমিত দ্বিবেদীর স্ত্রী শৈলজা দ্বিবেদীর মৃত্যুতে তাঁর হাত থাকতে পারে এই অভিযোগে তাঁকে উত্তরপ্রদেশের মেরঠ থেকে গ্রেফতার করা হয়। গত শনিবার দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে উদ্ধার হয় বছর ৩০-এর শৈলজার দেহ। প্রথমে ঘটনাটিকে পথ দুর্ঘটনা বলেই মনে হয়েছিল পুলিশের। গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু বলে প্রমাণের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু পরে দেহ পরীক্ষা করতে গিয়ে পুলিশ দেখে শৈলজার গলা ধারাল অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে। তাতেই পুলিশের ধারণা মজবুত হয় যে এটা কোনও দুর্ঘটনায় মৃত্যু নয়, হত্যাকাণ্ড। যাকে দুর্ঘটনার রূপ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ৩ বছর আগে পরিচয় হওয়া বন্ধুপত্নি শৈলজাকে মনে মনে ভালবাসতেন নিখিল হাণ্ডা। তাঁকে বিয়ে করতেও চেয়েছিলেন। বন্ধুপত্নিকে বিয়ে করার বাসনা বাসনাই থেকে যাবে এটা ভেবেই হয়তো শনিবার নিখিল হাণ্ডা শৈলজার সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করে তাঁকে গাড়িতে তোলেন। তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে রাস্তায় ফেলে তাঁর ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেন। যাতে মনে হয় এটা একটা দুর্ঘটনা। তবে পুরোটাই প্রাথমিক অনুমান মাত্র। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন পুলিশ আধিকারিকরা।