এক গৃহবধূর মৃত্যু রহস্যের কিনারা করল পুলিশ। এক্ষেত্রে রহস্যের জাল ছিঁড়ে সত্য খুঁজতে তাদের তদন্ত সত্যিই তারিফযোগ্য। তাদের তদন্ত যে কোনও গোয়েন্দা গল্পকেও হার মানাতে পারে। একটি সংস্থার স্টিকার দেওয়া কার্টুন থেকে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর দেহাংশে চালের কিছু টুকরো লেগে ছিল। দিল্লির একটি ফাঁকা জায়গা থেকে সেই মহিলার জামাকাপড়ও উদ্ধার হয়। দোকানে দোকানে ঘুরে সেই জামাকাপড় কোথা থেকে কেনা হয়েছে তার খোঁজ শুরু করেন তদন্তকারীরা। এছাড়া খোঁজ নেওয়া হয় ওই সংস্থায় যে সংস্থা বাড়ি বা অফিস পরিবর্তনের সময়ে জিনিসপত্র নতুন জায়গায় পৌঁছে দেয়। অবশেষে এভাবেই নাটকীয়ভাবে সুতো গোটাতে গোটাতে অবশেষে পুলিশ ওই মহিলার স্বামীকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
পুলিশ জানাচ্ছে, ২৭ বছরের ওই যুবতীর সঙ্গে তাঁর ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর ঝগড়া লেগেই থাকত। স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতেন স্ত্রী। অভিযোগ এভাবেই ঝগড়ার সময়ে স্ত্রীকে খুন করে সাজিদ আলি আনসারি। সাজিদ নাকি স্ত্রীকে হত্যার পর তাঁর দেহ টুকরো করে কার্টুনবন্দি করতে ২ দাদার সাহায্য নেয়। পুলিশ তাদেরও গ্রেফতার করেছে।