মুম্বইয়ের ঘাটকোপারের সর্বোদয় নগর। জনবহুল এলাকা। বহু মানুষের বাস। আশপাশে বাড়ির জঙ্গল। তার মাঝেই একটি জায়গা একটু ফাঁকা ছিল। সেখানে একটি নির্মাণের কাজ চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকাই সেই নির্মাণের ওপর আছড়ে পড়ে একটি চার্টার্ড বিমান। পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানে আগুন লেগে যায়। দ্রুত দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকলের কয়েকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার খবর পেয়ে আশপাশের বহু মানুষ সেখানে ভিড় জমান। উদ্ধার কাজ শুরু হওয়ার পর সেখান থেকে ৫টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিমানে মোট ৪ জন ছিলেন। সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে যেখানে বিমানটি ভেঙে পড়ে সেখানে এক ব্যক্তি ছিলেন। যাঁর গায়ে বিমানের তেল গিয়ে পড়ে। তারপর গায়ে আগুন লেগে ঝলসে যান তিনি।
যেটুকু খবর পাওয়া গেছে, ছোটো বিমানটি আগে উত্তরপ্রদেশ সরকারের ছিল। উত্তরপ্রদেশ সরকার সেটি বেচে দিয়েছিল একটি বেসরকারি সংস্থাকে। বিমানটিতে কিছু সমস্যা ছিল। তার মেরামতির পর এদিন জুহু থেকে বিমানটি পরীক্ষামূলক উড়ানে আকাশে ওড়ে। বিমানে ছিলেন ইঞ্জিনিয়াররা। কিন্তু কিছুটা ওড়ার পরই হয়ত বিমানটিতে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয়। ফলে জরুরি অবতরণে বাধ্য হন পাইলট। কিন্তু ঘাটকোপারের ঘিঞ্জি এলাকায় ফাঁকা জায়গা না মেলায় হয়তো তিনি এই সামান্য ফাঁকা অংশটিকে বেছে নেন। তবে সকলেই একমত যে পাইলট যতটা সম্ভব প্রাণহানি কমানোর চেষ্টা করেছেন। কোনও বাড়ির ওপর সেটি ভেঙে পড়লে আরও অনেক বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারত। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সবই প্রাথমিক অনুমান মাত্র। তদন্তের পরই সঠিক কী হয়েছিল তা পরিস্কার হবে।