একই পরিবারের আত্মহত্যার ঘটনা আগেও শোনা গেছে। সেক্ষেত্রে ৩-৪ জনকে একসঙ্গে আত্মহত্যা করতে দেখা গেছে। কিন্তু একসঙ্গে ১১ জনের আত্মহত্যা? এমন ঘটনার কথা সচরাচর শোনা যায়না। যা দেখা গেল রবিবার সকালে। দিল্লির বুরারি এলাকার সন্ত নগরের একটি বাড়িতে থাকতেন পেশায় প্লাইউডের ব্যবসায়ী এক পরিবার। পরিবারের কর্তার ভোরে উঠে মর্নিং ওয়াকের অভ্যাস ছিল। তাঁর এক প্রতিবেশি ছিলেন তাঁর মর্নিং ওয়াকের সঙ্গী। রবিবার সেই প্রতিবেশি মর্নিং ওয়াকের সময় ওই ব্যক্তিকে দেখতে না পেয়ে অবশেষে ফেরার সময় সকাল ৮টা নাগাদ ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে যান। সেখানে বাড়ির মূল ফটক খোলাই পান তিনি। কিছুটা সন্দেহ নিয়েই ভিতরে ঢোকেন। আর ঢুকেই দেখেন হলঘরে ঝুলছে পরিবারের কয়েকজনের দেহ। আতঙ্কে চিৎকার করতে থাকেন তিনি। ছুটে আসেন অন্য প্রতিবেশিরা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ এসে দেখে দোতলার হলঘরে লোহার গ্রিলে ঝুলছে পরিবারের ৯ জনের দেহ। যারমধ্যে গৃহকর্তাও ছিলেন। ছিলেন মহিলা, শিশুরাও। সকলের চোখ কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। এছাড়া একটি ঘরের দরজায় এক বছর ষাটের মহিলাকে ঝুলতে দেখা যায়। তাঁরও চোখ বাঁধা ছিল। আরও এক বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার হয় একটি ঘর থেকে। তাঁকেও ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেলেও তাঁর চোখ কেবল বাঁধা ছিলনা।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করছে এটা আত্মহত্যার ঘটনা। তবে কেন আত্মহত্যা তা পরিস্কার নয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। বেলায় ঘটনাস্থলে হাজির হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।