কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে কর্ণাটকের রাজ্যপাট সামলাচ্ছেন জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী। ভোটের আগে তাঁর আশ্বাস ছিল জিতে এলে কৃষকদের ঋণ মকুব করে তাঁদের স্বস্তি দেবেন তিনি। এখন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে। তাই এবার তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষার পালা। আর সেই কাজ প্রথম বাজেটেই সেরে ফেললেন কুমারস্বামী।
কৃষকদের স্বস্তি দিতে তিনি অর্থমন্ত্রী হিসাবে রাজ্য বাজেটে যে প্রস্তাব দিয়েছেন তাতে ৩৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ মকুবের কথা বলা হয়েছে। এরমধ্যে থাকছে যাদের ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফসল ঋণ নেওয়া আছে তাঁদের ঋণ মকুবের প্রস্তাব। এছাড়া যাঁরা সময়মত কৃষিঋণের দেয় অর্থ ফেরত দিতে পারেননি, তাঁদের এরিয়ার মাফ করার প্রস্তাবও বাজেটে দিয়েছেন কুমারস্বামী। এটা হলে সেসব কৃষকও নতুন করে ঋণের আবেদন করতে পারবেন।
৩৬ হাজার কোটি টাকা কম কথা নয়। সেক্ষেত্রে রাজ্যের কোষাগারে চাপ পড়ার কথা মেনেও নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। তাই সেই ভার কমাতে জ্বালানি তেলের ওপর বাড়তি কর বসানোর প্রস্তাব পেশ করেছেন কুমারস্বামী। এছাড়া দেশে তৈরি মদের ওপর অন্তঃশুল্ক ৪ শতাংশ করে বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
২০১৯ এ লোকসভা ভোট। তার আগে গত বুধবারই ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতে কৃষক স্বস্তির দিকে নজর দিতে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এদিন সেই একই রাস্তায় হাঁটতে দেখা গেল জেডিএস সুপ্রিমো তথা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে কী জেডিএসের ভোটব্যাঙ্ককে আলাদা করে মজবুত করতে চাইছেন তিনি? এ প্রশ্ন কিন্তু তুলতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহল। তবে সব শেষে একথা মানতেই হচ্ছে কারণ যাই হোক না কেন, কৃষকদের ঋণ মকুব হলে তাঁদের মুখে হাসি ফুটবে। যা ভারতের মত কৃষিপ্রধান দেশে আবশ্যিক।