
মহারাষ্ট্রের উরনে জঙ্গি ঘোরার ঘটনা ছাত্রছাত্রীদের মনগড়া ছিল। এমন কেউই সেখানে ঘুরছিল না। উত্তেজনার মজা উপভোগ করতেই ১২ বছরের এক কিশোরী কথাটা রটায়। আর তার সুরে সুর মেলায় অন্য কয়েকজন ছাত্র। পুলিশের সঙ্গে পরে কথা বলার সময় সেকথা মেয়েটি স্বীকার করেছে। জঙ্গিদের ছবি দেখে দেখে অভ্যস্ত সে। খবরের কাগজ, সিনেমা, টিভি সর্বত্রই জঙ্গিদের চেহারা দেখে তার মনে হয়েছিল জঙ্গিরা পাঠান পোশাক পরে। হাতে বন্দুক থাকে। তারসঙ্গে উত্তেজনার পারদ চড়াতে সে যোগ করে জঙ্গিরা ওএনজিসি ও স্কুলের কথা বলছিল। এরপর পুলিশ কিছুটা নিশ্চিন্ত হয়। কিন্তু তার আগে ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের দাবির ভিত্তিতে সেনা ও পুলিশের খানা তল্লাশি শুরু হয়ে যায়। আকাশপথেও তল্লাশি চালায় সেনা। সন্দেহভাজনদের খোঁজে তল্লাশি শুরু আরব সাগরেও। রণতরী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ জলসীমা চষে ফেলে। টানা ৪ দিন কারও সন্ধান না পেয়ে ফের ওই ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বসে পুলিশ। তখনই তারা সব কথা স্বীকার করে। তবে বকাবকি করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাদের। বোঝান হয়েছে এভাবে গুজব ছড়ানোর ফলাফল কী হতে পারে।