বিপদে পড়লে উঁচু তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বাঁচানোর কৌশল শেখানো হচ্ছিল ছাত্রছাত্রীদের। বিপর্যয় মোকাবিলার সেই প্রশিক্ষণই ডেকে আনল চরম বিপর্যয়। প্রাণ গেল এক ছাত্রীর। তিনতলার কার্নিশ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার কৌশল শিখতে গিয়ে নিচে পড়তে থাকা ছাত্রীর মাথা দোতলার কার্নিশে খেল ধাক্কা। তারপর পড়ল নিচে। গুরুতর আহত ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
কোয়েম্বাটুরের কোভাই কলাইমগল কলেজে গত বৃহস্পতিবার চলছিল বিপর্যয় মোকাবিলার প্রশিক্ষণ। সেই প্রশিক্ষণে অন্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নাম লেখান লোগেশ্বরী নামে ১৯ বছরের এক কমার্সের ছাত্রী। কার্নিশ থেকে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণরক্ষার প্রশিক্ষণ দিতে লোগেশ্বরীকে বসানো হয় তিনতলার কার্নিশে। পিছনে প্রশিক্ষক কার্নিশেই দাঁড়িয়ে। নিচে বড় চাদর ধরে দাঁড়িয়ে অনেকে। তার ওপরই ঝাঁপ দিতে বলা হলেও আতঙ্কে ঝাঁপ দিতে রাজি হননি ওই ছাত্রী। সেই সময়ে তাঁকে জোর করেই ঠেলে দেন প্রশিক্ষক। ঠেলায় নিচের দিকে পড়তে শুরু করেন লোগেশ্বরী। তিনতলা পার করে দোতলার কার্নিশে আচমকাই তাঁর মাথা ঠুকে যায়। তারপর তিনি গিয়ে পড়েন নিচে। সেই শিউড়ে ওঠার মত ভিডিও এখন ইন্টারনেটে ভাইরাল।
এই ঘটনায় প্রশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার জেরে কলেজ জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রশ্ন উঠছে ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত না করেই কীভাবে এমন ঝুঁকির প্রশিক্ষণ কলেজ চত্বরে হতে দিল কলেজ কর্তৃপক্ষ? যার জেরে প্রাণ গেল এক ১৯ বছরের তরুণীর।