স্কুলের বাচ্চাদের মধ্যে চকোলেট বিতরণ করছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁর অন্য ৩ বন্ধু পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। এমন সময়ে বেশ কয়েকজন এসে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। কী উদ্দেশ্যে চকোলেট বিলি তাও জানতে চান তাঁরা। হাওয়া ক্রমশ গরম হচ্ছে বুঝতে পেরে সেখান থেকে চলে যাওয়া স্থির করেন ৪ জন। গাড়িতে চড়ে সেখান থেকে বেরিয়েও যান। পুলিশ জানাচ্ছে তখনই তাঁদের গাড়ির পিছু ধাওয়া করে কয়েকটি মোটরবাইক। বেগতিক বুঝে গাড়ির গতি বাড়িয়ে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই ৪ ব্যক্তি। মোটরবাইকগুলিও তাঁদের সঙ্গে সমান তালে গতি বাড়ায়। এই সময়ে একটি মোটরবাইকের সঙ্গে গাড়ির ধাক্কা লাগে। গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায় পাশের একটি কালভার্টে। অভিযোগ সেই সময়ে গ্রামবাসীদের একাংশ ৪ জনকে ছেলেধরা সন্দেহে গাড়ি থেকে টেনে বার করে বেদম প্রহার শুরু করেন। এতে ঘটনাস্থলেই ১ জনের মৃত্যু হয়। বাকি ৩ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
পুলিশ জানাচ্ছে ঘটনার সূত্রপাত একটি হোয়াটসঅ্যাপ গুজবকে কেন্দ্র করে। সেখানে কেউ রটিয়ে দেয় কর্ণাটকের বিদার এলাকায় শিশু চোরেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর সেই সময়েই হায়দরাবাদ থেকে বিদারে এসেছিলেন গুগলের ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ আজম। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ৩ বন্ধু। যারমধ্যে মহম্মদ সালাম নামে এক ব্যক্তি কাতারের বাসিন্দা। তিনিই বিদারের কাছে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের চকোলেট বিলি করছিলেন। হোয়াটসঅ্যাপে গুজব তো ছড়িয়েই ছিল। তারমধ্যেই এভাবে বাচ্চাদের চকোলেট দিতে দেখে এক ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে সেকথা ছড়িয়ে দেন। তাতেই ক্ষেপে ওঠেন স্থানীয়রা। তাঁদের জিজ্ঞাসার মুখেই বেগতিক বুঝে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই ৪ জন। কিন্তু পরে তাঁদের বেদম প্রহারের মুখে পড়তে হয়। মৃত্যু হয় আজমের।
মহম্মদ আজমকে পিটিয়ে হত্যা ও ৩ জনকে গুজবের জেরে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে ইতিমধ্যেই ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কালভার্টে পড়া গাড়িটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।